মিমি। ফাইল চিত্র।
জলপাইগুড়ি থেকে প্রচুর অক্সিজেন নিয়ে ফিরেছেন মিমি চক্রবর্তী। লম্বা ছুটি কাটিয়ে কলকাতায় পা দিয়ে সে কথাই যেন বুঝিয়ে দিচ্ছেন সাংসদ তাঁর প্রতিটি কাজে। একুশের নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক পাতায় তেমনই যেন এনার্জিতে ফুটছেন নিজেও!
কোনও দিন কলকাতার শীত উপভোগ করতে ভাসছেন গঙ্গার বুকে। কোনও দিন লাল রঙের বডি হাগিং টপ, লেটার ফিনিশড শর্ট স্কার্ট, জ্যাকেটে অগ্নিবর্ণা। তাপ ছড়াতে ছড়াতে পাশ্চাত্য গানের ছন্দে দুলে উঠেছেন। সেই ক্লিপিংস সামাজিক পাতায় ভাল রকমই ভাইরাল। ভিউয়ার্স ৪০ হাজারের উপর।
ব্যাপার কি সাংসদ তারকার? সোশ্যাল পেজ বলছে, এসভিএফ অফিসেও গিয়েছিলেন তিনি। এই ভাইরাল ভিডিয়ো কি নতুন কোনও ছবির টুকরো ঝলক?
A post shared by Mimi (@mimichakraborty)
ব্যস্ত সাংসদকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বদলে পুরো বিষয়টি খোলসা করল প্রযোজনা সংস্থা। ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে অনির্বাণ ভট্টাচার্য, মিমি চক্রবর্তী অভিনীত ‘ড্রাকুলা স্যার’। তারই প্রচারে মিমি এসেছিলেন প্রযোজনা সংস্থার অফিসে। শীত বিকেলের নরম আলোয় মায়াবি গোটা অফিস।
এমন ব্যাকগ্রাউন্ডের লোভ ছাড়তে পারে কেউ?
মিমিও পারেননি। তাই নিমেষে ‘মঞ্জরী’ থেকে খোলা চুলে, টকটকে চেরি লাল পাশ্চাত্য পোশাকে চূড়ান্ত ফ্যাশানিস্ত। অভিনেত্রীর এই রূপ দেখে ভুলেছে সূর্যের আলো, ঝকঝকে নীলাকাশও। হার মেনে তারা যেন আত্মসমর্পণ করেছে সাংসদ-তারকার কাছে। অভিনেত্রীর স্থির ছবির ক্যাপশনেও সেই কথার উল্লেখ, ‘স্কাই স্ক্র্যাপারের নিষেধ অগ্রাহ্য করে আকাশ আর আলো আমায় ছুঁয়ে গিয়েছে। এ ভাবেই এদের মাঝে হারাতে চেয়েছিলাম।’