মিঠুন চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
মেগাস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় (মিমো) চক্রবর্তী এবং স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করলেন এক তরুণী মডেল। তেমনই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। শনিবার বিকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে মিঠুন বা তাঁর পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
পুলিশি সূত্রে খবর, গত ১৫ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার মিমো এবং যোগিতার বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ওশিয়ারা থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগকারিনী তাঁর বয়ানে জানান, ২০১৫ সাল থেকে তিনি মিমোর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। একবার মিমো তাঁর সফ্ট ড্রিঙ্কে মাদক মিশিয়ে দিয়েছিলেন এবং তারপর অনুমতি ছাড়াই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করেছিলেন। অভিযোগকারিনীকে মহাক্ষয় বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বলে তাঁর দাবি।
অভিযোগকারিনীর আরও দাবি, প্রথমে তিনি মুম্বইতে এফআইআর দায়ের করার চেষ্টা করলেও পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। এরপর তিনি দিল্লি গিয়ে সেখানকার আদালতের দ্বারস্থ হন। প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয়। তারপরেই মুম্বইয়ের ওশিয়ারা থানায় মিঠুনের ছেলে এবং স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে ওই এফআইআর দায়ের করা হয়। এদিনই সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। তবে চক্রবর্তী পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মিঠুন বেশ কয়েকমাস ধরেই সে ভাবে আর ‘পাবলিক লাইফ’-এ নেই। রাজনীতিতেও নেই। সারদা মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর প্রথমে সিবিআই-কে টাকা ফেরত দিয়েছেন। তার পর ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের পদ থেকে। তখন থেকেই মিঠুন কার্যত অধরা। তবে এর মধ্যে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন একটি ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হিসাবে। সেই শোয়ের জন্য তিনি শ্যুটও করেছিলেন। কিন্তু তা ছাড়া তাঁকে বাইরে বিশেষ দেখা যায়নি। মাঝখানে তাঁর গুরুতর অসুস্থতার খবরও রটেছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, মিঠুনের অসুস্থতা ততটা গুরুতর নয়।
মিঠুনের সঙ্গে ছেলে মিমো এবং স্ত্রী যোগিতা বালি। ফাইল চিত্র।
আরও পড়ুন: সত্যি-মিথ্যের দোলাচলে কোনটা 'শিরোনাম'? প্রথম ছবিতেই নজর কাড়লেন পরিচালক
ঘটনাচক্রে, মিঠুনের বড় ছেলে মিমোর বলিউড কেরিয়ার সে ভাবে দানা বাঁধেনি। ‘মিঠুনপুত্র’ হওয়ায় তাঁর উপর প্রত্যাশার চাপও ছিল প্রচুর। কিন্তু এই ‘বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস’-এর অভিযোগ মিমো, যোগিতার এবং সর্বোপরি মিঠুন কী ভাবে সামাল দেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জনমানসে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় গিয়ে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন করেন কি না, তা-ও দেখার। এ-ও দেখার, ওশিয়ারা থানা তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে কি না।