অদিতি মুন্সি।
এক জন নন, তাঁর বাড়িতে সাত জন গোপাল! আজ তাঁর সাত ছেলের জন্মতিথি। জন্মাষ্টমী মানেই তাঁর কাছে বাড়িজোড়া উৎসব। এ বছর সেই সঙ্গে বাড়তি দায়িত্ব। তিনি রাজারহাট গোপালপুর কেন্দ্রের নব নির্বাচিত বিধায়ক। সকাল থেকে সেই কাজের ব্যস্ততাও তুঙ্গে। তার মধ্যে যখনই সময় পাচ্ছেন গুনগুনিয়ে উঠছেন শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম। তিনি অদিতি মুন্সি।
আনন্দবাজার অনলাইন যখন তাঁকে যোগাযোগ করে অদিতি তখন রান্নাঘরে। গ্যাসের শোঁ শোঁ শব্দ জানান দিচ্ছে, ভোগ রান্না হচ্ছে। কী করে এত কিছু এক সঙ্গে সামলান বিধায়ক-শিল্পী? সঙ্গে সঙ্গে হাসিমাখা জবাব, ‘‘গোপালের কাজ করতে হয় না। তিনি নিজেই নিজের ব্যবস্থা গুছিয়ে করে নেন’’।
জন্মাষ্টমীতে কোনও বছরেই দম ফেলার ফুরসত পান না অদিতি। সারা দিন নানা জায়গায় তাঁকে দৌড়তে হয়েছে। সেই কাজ মিটিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে অদিতি আক্ষরিক অর্থেই ‘মা’। সাত ছেলেকে নিজের হাতে দুধ, গঙ্গাজলে স্নান করিয়ে নতুন পোশাকে সাজিয়েছেন। সেই রিল ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে ঘুরে ফিরে দেখছেন তাঁর অনুরাগীরা। যিনি গানে গানে সারাক্ষণ কৃষ্ণকে ডাকেন, তিনি এই বিশেষ দিনে কী কী করেন? অদিতি জানিয়েছেন, "এ দিন নানা রকমের ভোগ রান্না করেন তিনি আর তাঁর শাশুড়ি মা। পোলাও, ফ্রায়েড রাইস, পাঁচ রকম ভাজা, লুচি, তরকারি, নাড়ু, তালের বড়া, মালপোয়া, ১২ রকমের মিষ্টি, ক্যাডবেরি, পায়েস কিচ্ছু বাদ পড়ে না।"
অদিতির জন্মাষ্টমী কিন্তু এক দিনেই শেষ নয়। পরের দিন নিষ্ঠার সঙ্গে নন্দ উৎসবও পালন করেন। এ বছর তাঁর ইচ্ছে, ১২ জন শিশু-কিশোরকে নন্দ উৎসবের দিন খাওয়াবেন। মুঠোফোনেই গুনগুন করতে করতে শিল্পীর দাবি, ‘‘ইচ্ছে তো অনেক কিছুই। গোপাল যেটুকু করাবেন সেটুকুই হবে।’’