Kanchan Mallick

Kanchan Mullick: আমার চোখে গোপাল সন্তানসম, তাঁকে যেমন পিৎজা খাওয়াই আবার জন্মতিথিতে চকোলেটও দিই: কাঞ্চন

সায়ন্তনের নতুন ছবিতে কাঞ্চন মল্লিক দ্বৈত চরিত্রে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২১ ১৯:৫৩
Share:

কাঞ্চন মল্লিক

জন্মাষ্টমীর বিকেলে আনন্দবাজার অনলাইনকে সুখবর দিলেন কাঞ্চন মল্লিক। সায়ন্তন ঘোষালের আগামী ছবি ‘হীরকগড়ের হিরে’-তে তিনি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন। রাজনীতিকে দ্বিতীয় পেশা করার পর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল তাঁকে উত্তরপাড়া কেন্দ্র থেকে বিধায়ক প্রার্থীর মনোনয়ন দিয়েছিল। জিতে ফিরে সেই গড় সামলে কাঞ্চন ফের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের মুখোমুখি। পাশাপাশি, নিজের বাড়িতে সোমবার অভিনেতা নিজের হাতে পুজো করছেন প্রতিষ্ঠা করা গোপালের। কাঞ্চনের কথায়, ‘‘আমার চোখে গোপাল সন্তানসম। তাঁকে যেমন পিৎজা খাওয়াই আবার জন্মতিথিতে চকোলেটও দিই।’’ তাই পুরোহিত ডেকে মন্ত্র পড়ে নয়, নিজে নিষ্ঠা ভরে রাতে উৎসবের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান পালন করবেন নব্য বিধায়ক।

আবার অভিনয়ে ফিরে কেমন লাগছে? জবাবে কাঞ্চন জানালেন, ‘‘অভিনয় করব না এমন কথা কোনও দিন বলিনি। রাজনীতির কারণে কিছু দিন দূরে থাকতে হয়েছে। ক্যামেরার মুখোমুখি হতেই ফের চেনা দুনিয়া। অনেক দিন পরে যেখানে বুক ভরে শ্বাস নিলাম।’’ সায়ন্তন মানেই গা ছমছমে ব্যাপার। রহস্য-রোমাঞ্চের ককটেল। এই ছবিও সেই গোত্রেরই। তবে এখানে রোমাঞ্চের হাত ধরে থাকছে সূক্ষ্ম রসবোধও। কাঞ্চনের কথায়, ছবিতে তাঁর দ্বৈত চরিত্র। পারিবারিক হিরে নিয়ে গল্প। তার পর কী হবে? দ্বৈত চরিত্রের একটি মজার হলে অন্যটি গুরুগম্ভীর? এক্ষুণি এ সব প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ অভিনেতা।

Advertisement

ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ এবং কালিম্পঙে ছবির শ্যুট শেষ। কাঞ্চন এবং সায়ন্তন যৌথ ভাবে জানালেন, দিন কয়েক কলকাতায় শ্যুট করলেই ছবির কাজ শেষ হবে। ছবিতে কাঞ্চন ছাড়াও রয়েছেন সোহম চক্রবর্তী, বনি সেনগুপ্ত, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, আয়ুষী, বিশ্বনাথ বসু। পরিচালকের দাবি, দ্বৈত চরিত্রে কাঞ্চন মল্লিক ছাড়াও আরও একাধিক চমক রয়েছে। রহস্যের পাশাপাশি আছে প্রেম। এ ছাড়াও, এই ছবিতে সচেতন ভাবেই বনি-কৌশানির জুটি ভেঙেছেন তিনি। সায়ন্তনের দাবি, ‘‘জনপ্রিয় জুটি ভাঙার সাহস দেখালাম। সোহমদার সঙ্গে কৌশানি এবং বনির বিপরীতে আয়ুষীকে নিয়েছি। দেখা যাক, দর্শক কী বলেন।’’

বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েও মুখ খুলেছেন সায়ন্তন। তাঁর দাবি, ‘‘শ্যুটে গিয়ে বিধায়ক কাঞ্চনদা নন, অভিনেতা কাঞ্চনদাকেই পেয়েছি। অনেক দিন পরে আবার সারাক্ষণ হইচই করে সেট মাতিয়ে রেখেছিলেন। কাঞ্চনদার সঙ্গে কাজ মানেই ‘টেনিদা’র শ্যুট মনে পড়ে যাওয়া। আর শ্যুট শেষে প্রাণখোলা হুল্লোড়ে মেতে ওঠা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement