ইন্ডাস্ট্রিতে পরোপকারী হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তীর জুড়ি পাওয়া ভার। নিজের লাভক্ষতির হিসেব না কষেই অন্যের উপকার করে গিয়েছে এই বঙ্গসন্তান। শোনা যায়, একবার তাঁর জন্যই বেঁচে গিয়েছিল সানি দেওলের কেরিয়ার।
১৯৮৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘এতিম’। জে পি দত্ত পরিচালিত এই ছবির কাজ শেষ হতে সময় লেগেছিল তিন বছর। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ছবিটি। এই ছবিটি নিয়ে সানি দেওলের সাতটি ছবি পরপর ব্যর্থ হয়।
এই ‘এতিম’ ছবি নিয়ে অনেক আশা ছিল ধর্মেন্দ্রর। তিনি ভেবেছিলেন এই ছবির হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াবে তাঁর ছেলের কেরিয়ার। কিন্তু ‘এতিম’ ফ্লপ করায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন।
এই সময় ধর্মেন্দ্র শোনেন পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর কাছে ভাল চিত্রনাট্য আছে। চিত্রনাট্য শুনে পছন্দ হয় ধর্মেন্দ্রর। তিনি বুঝতে পারেন, ছবিটি হিট করবে।
কিন্তু ধর্মেন্দ্র দেখলেন, তীরে এসেও প্রায় তরী ডুবতে বসার অপেক্ষা। কারণ রাজকুমার সন্তোষীর ছবিতে ইতিমধ্যেই মিঠুন চক্রবর্তী অভিনয় করবেন বলে ঠিক হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু ধর্মেন্দ্র হাল ছাড়়লেন না। তিনি সরাসরি দেখা করলেন মিঠুনের সঙ্গে। অনুরোধ করলেন, সই করা হয়ে গেলেও তিনি যেন এই ছবিতে অভিনয় না করেন।
ধর্মেন্দ্রর আর্জি ছিল, তিনি এই ছবি প্রযোজনা করবেন। ছবিতে অভিনয় করবেন তাঁর ছেলে, সানি।
ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে মিঠুন ছবিটি ছেড়ে দেন। বলেছিলেন, তাঁর হাতে বাইশটি ছবি আছে। ধর্মেন্দ্র ওই ছবিটি তৈরি করতেই পারেন সানিকে নিয়ে।
অবশেষে রাজকুমার সন্তোষীর পরিচালনায় সানি দেওলের ছবি ‘ঘায়ল’ মুক্তি পেল ১৯৯০ সালে। বক্স অফিসে সুপারহিট তো হয়ই। এই ছবিটি তাঁকে জাতীয় পুরস্কারেও সম্মানিত করে।
এই ছবির পরেই সানি দেওলের কেরিয়ারের ভাঙা পালেও নতুন বাতাস লাগে। মিঠুনের এই আত্মত্যাগ মনে রেখেছিলেন ধর্মেন্দ্র ও সানি দেওল।