Kabhi Khushi Kabhie Gham

‘কভি খুশি কভি গম’-এর এই ভুলগুলি কি আপনার চোখে পড়েছিল?

এক বার নয়, বহু বার প্রায় সকলেই দেখেছেন ‘কভি খুশি কভি গম’। কর্ণ জোহরের এই ব্লকবাস্টার সিনেমাটির মধ্যেও কিন্তু রয়েছে একাধিক ভুল। দেখে নেওয়া যাক সেই ভুলগুলি কী কী ছিল—

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০৮:৩০
Share:
০১ ১৫

এক বার নয়, বহু বার প্রায় সকলেই দেখেছেন ‘কভি খুশি কভি গম’। কর্ণ জোহরের এই ব্লকবাস্টার সিনেমাটির মধ্যেও কিন্তু রয়েছে একাধিক ভুল। দেখে নেওয়া যাক সেই ভুলগুলি কী কী ছিল—

০২ ১৫

সিনেমার দ্বিতীয়ার্ধে করিনা কপূরকে বাড়ির মধ্যে দেখা যায় একটি স্লিভলেস জামা পরে, কিন্তু বাড়ি থেকে বেরনোর সময় তাঁকে জ্যাকেট পরা অবস্থায় দেখা যায়। অথচ করিনার হাতে কোনও জ্যাকেট ছিল না।

Advertisement
০৩ ১৫

সিনেমার শুরুতেই হৃতিক রোশনকে কলেজের টুর্নামেন্টে ব্যাট করতে দেখা যায়, অথচ তাঁর জুতো পুরো নতুন, চকচকে। লেগে নেই একটুও কাদা বা মাটি। এক ঘণ্টা ধরে ব্যাট করার পরেও জুতোয় একটুও ময়লা নেই!

০৪ ১৫

অমিতাভ বচ্চনের ‘রায়চন্দ ম্যানসন’ ভারতে বলে দাবি করা হয়েছে সিনেমায়। অবিশ্বাস্য বড় এই বাড়িটির সামনে বা চারপাশ দেখলেও বোঝা যাবে ভারতের প্রকৃতি এমন নয়। আসলে এ রকম বাড়ি ভারতের কোথাও নেই। এই বাড়িটি লন্ডনে।

০৫ ১৫

হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফেরার মতো অবাস্তব ঘটনা হয়তো কর্ণ জোহরের সিনেমাতেই দেখা সম্ভব। এত বড় বাড়ি যেমন ভারতে নেই। এত দামি হেলিকপ্টার কেনার ক্ষমতা ও বিশালাকায় হেলিপ্যাডের অস্তিত্বও মানা সম্ভব নয়।

০৬ ১৫

করিনা কপূরের জুতোর সিনটা মনে আছে নিশ্চয়ই। সিনেমায় দেখানো হয় হৃতিক রোশন তাঁর জুতোর ভুল ধরিয়ে দিলেও করিনা সেটিকে স্টাইল বলেন এবং বেরিয়ে যান। প্রম পার্টিতে কিন্তু করিনাকে দুই পায়ে ঠিক জুতো পরেই দেখা যায়।

০৭ ১৫

শাহরুখ খানের কথায় আসা যাক এ বার। লন্ডনে হয়তো কোনও ট্র্যাফিক পুলিশের বালাই নেই, তাই গাড়ি চালানোর সময় তাঁকে বা হৃতিক রোশনকে সিটবেল্ট বাঁধতে দেখা যায়নি। বাস্তবে ভারতের চেয়েও কড়াকড়ি ট্র্যাফিক আইন লন্ডনে।

০৮ ১৫

হৃতিক রোশন কলেজে এসেছিলেন লাল রঙের কনভার্টেবল ল্যাম্বারগিনি থেকে নামতে দেখা যায়। শাহরুখ খানের বাড়িতে থাকার সময় তাঁর গাড়ি বদলে হয়ে যায় রুপোলি রঙের মার্সিডিজ। গাড়ি বদলাতে পারলেও হৃতিকের লন্ডনে থাকার কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নটি শাহরুখ খান ঠিকই করেছিলেন তা হলে।

০৯ ১৫

গাড়িতে যাওয়ার সময় তাঁদের ভারতের ম্যাচের ধারাভাষ্য শুনতে দেখা যায়। ইংল্যান্ডের ওভালে হওয়া ম্যাচের শেষ ওভার চলছে বলা হয়। হিসেব মতো তা হলে খেলা শুরু হয়েছিল রাত দুটোয়। তবেই লন্ডনে সকাল ১০টায় ভারতের খেলার সরাসরি ধারাভাষ্য শোনা সম্ভব।

১০ ১৫

অমিতাভ ও জয়া বচ্চন ছেলেকে সারপ্রাইজ দিতে লন্ডনে এসে হৃতিককে ফোন করেন। হৃতিক তাঁদের ব্লু ওয়াটার শপিং মলে দেখা করতে বলেন। ব্লু ওয়াটার শপিং মল আসলে লন্ডনে নয়, কেন্টে অবস্থিত।

১১ ১৫

সিনেমার প্রথম গানের পর অমিতাভ ও জয়াকে একসঙ্গে মিলে ‘আতি ক্যায়া খান্ডালা’ গানটি গাইতে দেখা যায় ১৯৯১ সালে। অথচ গানটি মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে।

১২ ১৫

সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনকে নোকিয়ার যে মডেলের ফোনটি ব্যবহার করতে দেখা যায় তা ১৯৯৬ সালে বাজারে এসেছিল। সিনেমায় কিন্তু বলা হয়েছে ১৯৯১ সালের ঘটনা এটি।

১৩ ১৫

অমিতাভের বাড়িতে ক্ষমা চাইতে গিয়ে দ্বিতীয় বার কাজলের ফুলদানি ভাঙার দৃশ্যটি মনে আছে? ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে দূরত্বে কাজল দাঁড়িয়ে আছে, তাতে বিনুনির ধাক্কায় ফুলদানি ভাঙা এক প্রকার অসম্ভব।

১৪ ১৫

করিনা কপূর প্রমে যাওয়ার দৃশ্যে হাতে চুড়ি দেখা গেলেও পার্টিতে গিয়ে তাঁর হাতে চুড়ির দেখা মেলেনি আর।

১৫ ১৫

রোহনের (হৃতিক) ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যে ছেলেটি, তাঁর হাতে ছিল পাঁচটি আঙুল। কিন্তু রোহনের বড় হওয়ার পর ছ’টি আঙুল দেখা গিয়েছে। বয়সের সঙ্গে আঙুলের সংখ্যাও বেড়েছে এই সিনেমায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement