মিমি এবং যশ দাশগুপ্ত।
মিমি চক্রবর্তীর রান্নার হাত নাকি দারুণ? তাঁর অভিনেতা-বন্ধুরা তেমনটাই জানেন। অভিনেত্রী কী কী রাঁধতে পারেন? রান্নার এক রিয়্যালিটি শো বলছে, ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিকের ‘পুপে’ শুধুই কেক বেক করতে পারেন। ছ্যাঁকা খাওয়ার ভয়ে গরম তেল, রান্নাবান্না থেকে তিনি শত হাত দূরে। শুধু কি তাই? ওই শো-তেই বন্ধু যশ দাশগুপ্তের উপস্থিতিতে তিনি সামনে এনেছেন বড় খবর। সারা জীবন বরকে নাকি কেক বানিয়ে খাওয়াবেন মিমি!
সম্প্রতি স্টার জলসা ধারাবাহিকের ‘রান্নাবান্না’ কুকারি শো-তে এসেছিলেন যশ আর মিমি। যেই সঞ্চালিকা অপরাজিতা আঢ্য গরম তেলে রান্নার উপকরণ ছাড়লেন সঙ্গে সঙ্গে মিমি যশের হাত ধরে পায়ে পায়ে পিচ্ছোচ্ছেন! দেখতে দেখতে দু’জনেই ছিটকে দূরে। ভয়ে ভয়ে যশ জানতে চেয়েছেন, ‘‘আমাদের সরে যেতে হবে? এটা কি ছিটবে?’’ মিমি তত ক্ষণে যশের পিছনে লুকিয়ে পড়েছেন!
তেল ছিটকোচ্ছে না দেখে ধাতস্থ দুই তারকা। যশ সঙ্গে সঙ্গে স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন। অভিনেত্রীর অবস্থা দেখে মজা করে টিপ্পনি কেটেছেন, ‘‘ওই দেখো! এ নাকি রান্না করে’’! হালছাড়া গলায় মিমির উত্তর, ‘‘আমি বেক করি।’’ শুনেই অভিনেতার লাগামছাড়া রসিকতা, খালি সকাল-সন্ধে নিজের বরকে কেক বানিয়ে খাওয়াবে! সকালে উঠেই জলখাবারে কেক। দুপুরে, রাতের খাওয়াতেও কেক থাকবে! যশের কথায় সায় দিয়ে হাসতে হাসতে মিমির জবাব, ‘‘আমি কিন্তু খুব সুন্দর সুন্দর কেক বানাই’’!
রান্নার পাশাপাশি সোমবার অনুরাগীদের মুখে হাসি ফেরাতে চমৎকার পরামর্শ দিয়েছেন সাংসদ-তারকা। বর্ষার আবহে রোদ দুর্লভ। এ দিকে সপ্তাহের প্রথম দিনেই আকাশে রোদ। মন ভাল করতে মিমি সেই উষ্ণতাও নিয়েছেন, অন্য দিকে অনুরাগীদের রোদে ভেজার কথাও বলেছেন। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি আটকাতে সবাই যেন সানস্ক্রিন লোশন মেখে নেন। নইলে রোদে ত্বক তাজা হওয়ার বদলে কালচে ছোপ দেখা দেবে।