মিমি চক্রবর্তী
জুন মাসের গায়ে যেন ভালবাসা মাখানো! একে লিঙ্গভেদরেখাহীন প্রেমের মাস (প্রাইড মান্থ) বলে ঘোষণা করেছে আমেরিকা। তার উপর ঘোর বর্ষা। রবিবার এই দুই অনুভূতির মধ্যে সেতু বাঁধলেন মিমি চক্রবর্তী। চুলের ছাঁদে পরিবর্তন এনেছিলেন বেশ কিছু দিন আগেই। সেই লুকেই বাজিমাত করলেন আরও এক বার। পাশ্চাত্য পোশাকে নিজেকে সাজালেন। নেপথ্যে তখন আমেরিকান গায়ক ট্র্যাভিস স্কটের জনপ্রিয় গান ‘গুসবাম্পস’। তারই তালে তালে মিমির সারা গায়ে রামধনু রঙের আলো। আকাশেও রামধনু আলোর খেলা। সেই রং দিয়ে ফুটে উঠেছে শাশ্বত বাণী, ‘প্রেম তো প্রেমই’। অর্থাৎ, প্রেম-যৌনতা লিঙ্গ-সীমানার ঊর্ধ্বে।
চলতি মাসের শুরুতেই এ রকমই একটি বার্তা দিয়েছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী। কফির কাপের ছবিতে রামধনু ভালবাসার চিহ্ন এঁকে আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছিলেন, তিনি চিরকালই সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন, যাঁরা সমাজে এখনও ব্রাত্য। যাঁদের প্রেম ও কাম কেবল বিপরীত লিঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়। মিমি চান, নারী-পুরুষ, রূপান্তরকামী-রূপান্তরিত নির্বিশেষে একে অপরের প্রেমে পড়ুন। স্বাধীন ভাবে।
মিমির সেই বার্তা ক’জন শুনেছেন বা মেনেছেন? আদৌ কি কেউ সাড়া দিয়েছেন? উদযাপনে মেতেছেন তথাকথিত ‘সাহসী ভালবাসা’র? ভালবাসা কি সত্যিই আগলমুক্ত হতে পেরেছে? কৌতূহল অভিনেত্রীর। সেই জিজ্ঞাসা থেকেই তিনি একাধিক প্রশ্ন করেছেন অনুরাগীদের। কারণ তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন, ‘অন্তরে রাধা শরীরে বনমালী’ হয়ে থাকা মানুষদের জীবনযন্ত্রণা। মিমি জানেন, এই পালাবদল এক দিনে বা একটি মাস উদযাপনে সম্ভব নয়। তবুও তাঁর আশা, চলতি বছরে যদি অন্তত ১০০ জন এই প্রেমের মাস উদযাপন করেন, আগামী বছরে সেটাই হয়ত হয়ে দাঁড়াবে লক্ষাধিক। এ ভাবেই স্বাধীন হবে ভালবাসা। যে ভাবে একটি দেশ স্বাধীন হয়।