পুণ্যস্নান সেরেও কেন মন ভাল নেই মিলিন্দ সোমনের? ছবি: সংগৃহীত।
মহাকুম্ভে তারকাদের মেলা। আসমুদ্রহিমাচল যেন এসে মিলেছে এই পুণ্যস্থানে। বাদ নেই বলিউডের অভিনেতারাও। এ বার প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে এসে পুণ্যস্নান করলেন মিলিন্দ সোমন। সঙ্গ দিলেন তাঁর স্ত্রী অঙ্কিতা কোনওয়ার। পুণ্যস্নানের মুহূর্ত নিজেই সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিলেন মিলিন্দ।
বয়স সংখ্যা মাত্র। এই প্রবাদ মিলিন্দ সোমনের ক্ষেত্রে প্রমাণিত। চুল-দাড়িতে রুপোলি ঝিলিক দেখা গেলেও, চেহারায় বার্ধক্যের চিহ্ন মাত্র নেই। বলিষ্ঠ চেহারা ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন ৫৯ বছরের অভিনেতা। এ দিন পুণ্যস্নানের জন্য মিলিন্দ বেছে নেন হলুদ রঙের ধুতি। অনাবৃত উর্ধ্বাঙ্গে শুধু রুদ্রাক্ষের মালা। হাতে ফুল নিয়ে ডুব দেন ও আশিস প্রার্থনা করেন। পাশে দাঁড়িয়ে হাতে হাত মিলিয়ে দেন ২৬ বছরের ছোট স্ত্রী অঙ্কিতা। তাঁর পরনে খয়েরি রঙের কুর্তি।
একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে নিয়ে মিলিন্দ লেখেন, “মৌনী অমাবস্যার মতো পবিত্র দিনে অঙ্কিতার সঙ্গে মহাকুম্ভে আসতে পেরে ভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে। এই আধ্যাত্মিক জায়গায় এসে মনে হচ্ছে, এই অসীমের সামনে আমার অস্তিত্ব অতি ক্ষুদ্র। এই পৃথিবীতে আমরা যেটুকু সময় রয়েছি, সবটাই মূল্যবান। আমার মন ভরে গেলেও, গত রাতের ঘটনায় আমি মর্মাহত। যাঁরা প্রিয়জনদের হারালেন তাঁদের জন্য আমার সমবেদনা রইল। হর হর গঙ্গে, হর হর মহাদেব!”
মডেল অভিনেতা মিলিন্দের জন্ম স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয়, এক মারাঠি ব্রাহ্মণ পরিবারে। আট বছর বয়সেই বাবা-মায়ের হাত ধরে মিলিন্দ চলে আসেন ভারতে। মুম্বইয়েই তাঁর পড়াশোনা। মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে মিলিন্দ যোগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘে।
মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে মহাকুম্ভে ভিড় উপচে পড়ে। তিন নদী— গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সঙ্গমে স্নানের হুড়োহুড়ি করতে গিয়েই বিপত্তি। ঘটে যায় পদপিষ্টের ঘটনা। ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্টের ঘটনায় অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত আরও অনেক পুণ্যার্থী।