গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।
লেখাপড়া করেছিলেন চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়ে। দন্ত্যচিকিৎসক হিসাবে শুরু করেছিলেন কর্মজীবনও। তার পরে এক রিয়্যালিটি শো বদলে দিল জীবনের মোড়। ডাক্তারি ছেড়ে গান গাওয়া শুরু করলেন মেইয়াং চ্যাং। তার পরে আস্তে আস্তে পা রাখলেন অভিনয় জগতেও। ‘বদমাশ কোম্পানি’, ‘সুলতান’, ‘মডার্ন লভ মুম্বই’-এর মতো সিনেমা ও সিরিজ়ে অভিনয়ও করেছেন সমানতালে। এ বার সেই শিল্পীর গলায় বাংলা গান। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘শাহ জাহান রিজেন্সি’ ছবির ‘কিচ্ছু চাইনি আমি’ গাইলেন চ্যাং। সমাজমাধ্যমে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সেই গানের ভিডিয়ো।
একে অবাঙালি, তায় ইন্দো-চিনা বংশোদ্ভুত। এমন কারও পক্ষে বাংলা ভাষায় দখল থাকা খুব একটা প্রত্যাশিত নয়। তবে, সেই ধারণা ভাঙলেন মেইয়াং চ্যাং। ঝরঝরে বাংলায় গাইলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্যের গাওয়া গান ‘কিচ্ছু চাইনি আমি’। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন শিল্পী। লেখেন, ‘‘গত সপ্তাহে খুব ভাল সময় কাটিয়েছি কলকাতায়। গল্প করেছি, আড্ডা দিয়েছি। বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, ফুচকা সব খেয়েছি। কলকাতা থেকে ফিরে এসেছি বটে, তবে বাংলা আমার সঙ্গেই রয়েছে।’’ কলকাতা থেকে ফিরে এ যেন নিজের বাঙালি অনুরাগীদের ফিরতি উপহার চ্যাংয়ের। চ্যাংয়ের গান শুনে মুগ্ধ খোদ সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। ওঁর গান গাওয়া ভিডিয়ো রিটুইট করেছেন ‘শাহ জাহান রিজেন্সি’র পরিচালক। চ্যাংয়ের প্রশংসা করেছেন ছবির অন্যতম অভিনেতা ও টলিতারকা আবির চট্টোপাধ্যায়ও। চ্যাংয়ের গানের ভিডিয়ো রিটুইট করে তিনি লিখেছেন ‘‘কেয়া বাত!’’
‘শাহ জাহান রিজেন্সি’ ছবিতে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের গলায় এই গান শুনেছিলেন অনুরাগীরা। তবে, এই গানের জন্ম তারও অনেক আগে। দীপাংশু আচার্যর কথায় ও প্রসেনের সুরে ‘হুডখোলা কবিতারা’ অ্যালবামের অংশ হিসাবে প্রথম মুক্তি পায় এই গান। সেই সময় এই গানের নাম ছিল ‘রাজকুমারীর গান’। পরে ‘শাহ জাহান রিজেন্সি’ ছবির জন্য নতুন মোড়কে তৈরি হয় এই গান। সেই গানে গলা দেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। গানের ফিমেল ভার্সন গেয়েছেন মধুবন্তী বাগচি। এক সময় বাঙালি গায়িকা মোনালি ঠাকুরের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন মেইয়াং চ্যাং। এখন আর সেই সম্পর্ক না থাকলেও বাংলা যে তাঁর মনেপ্রাণে থেকে গিয়েছে, ঝরঝরে বাংলায় গান গেয়ে তা ফের জানান দিলেন চ্যাং।