মাহুত দম্পতি বোমান ও বেলির হাতে অস্কার তুলে দিলেন কার্তিকি গনসালভেস। — ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের অস্কারের মঞ্চে গজরাজের জয়। স্বল্প দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের বিভাগে সেরার শিরোপা অর্জন করে অস্কার জিতে নেয় ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ ছবিটি। মঞ্চে উঠে অস্কারের সোনালি স্মারক গ্রহণ করেন তথ্যচিত্রের পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস ও প্রযোজক গুনীত মোঙ্গা। অবিস্মরণীয় এই জয়ের পরে অস্কার নিয়ে দেশে ফিরেছেন কার্তিকি ও গুনীত দু’জনেই। অস্কার হাতে দেশে ফিরেই স্বর্ণমন্দিরে গিয়েছিলেন তথ্যচিত্রের প্রযোজক গুনীত মোঙ্গা। এ বার ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর মাহুত দম্পতি বোমান ও বেলির হাতে অস্কার তুলে দিলেন কার্তিকি। অস্কার হাতে হাসিমুখে ওই মাহুত দম্পতির ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলেন অস্কারজয়ী তথ্যচিত্রের পরিচালক।
তামিলনাড়ুর মুদুমালাই অঞ্চলের বাসিন্দা বোমান ও বেলি। হস্তীশাবক রঘুকে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন এই মাহুত। রঘুকে শুধু নতুন জীবনদানই নয়, তাকে পালন-পোষণ করে বড় করে তুলেছিলেন বোমান ও বেলি। রঘুর পরে ওঁদের কোলে আসে আরও এক হস্তীশাবক আম্মু।
দুই হস্তীশাবক রঘু ও আম্মুকে পালন-পোষণ করে বড় করে তুলেছিলেন বোমান ও বেলি। ছবি: সংগৃহীত।
বন্যপ্রাণী ও মানুষ— প্রকৃতির দুই সন্তানের জীবনযাপনের মধ্যে সেতুবন্ধনের এক মাত্র উপায় যে নিঃশর্ত ভালবাসা, ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ তথ্যচিত্রে তা সুচারু ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন কার্তিকি। বিশ্বমঞ্চে সম্মানিত হয়েছে কার্তিকির সেই প্রয়াস। সেরার শিরোপা অর্জন করে দেশে ফিরেছেন অস্কারজয়ী পরিচালক। এ বার ঘরে ফেরার পালা। বোমান ও বেলির হাতে অস্কার তুলে দিয়ে খুশি কার্তিকি। সমাজমাধ্যমে মাহুত দম্পতির ছবি পোস্ট করে কার্তিকি লেখেন, ‘‘দীর্ঘ চার মাস একে অপরের থেকে দূরে ছিলাম আমরা। এ বার মনে হচ্ছে বাড়ি ফিরে এসেছি।’’ ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর প্রাণভোমরা বোমান ও বেলির কাছে ফিরে আসতে পেরে স্বস্তিতে কার্তিকি। তাঁদের হাতে অস্কার তুলে দেওয়ার আনন্দ যে অতুলনীয়, তা স্পষ্ট কার্তিকির লেখায়।
দিন কয়ের আগে অস্কার হাতে স্বর্ণমন্দিরে গিয়েছিলেন ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর প্রযোজক গুনীত মোঙ্গা। নিজে গাড়ি চালিয়ে গুনীতকে স্বর্ণমন্দিরে নিয়ে গিয়েছিলেন রন্ধনশিল্পী বিকাশ খন্নার মা। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন বিকাশ।