ববি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
সাদা শার্ট, গলায় পান্নার মালা, মাথায় মদের গ্লাস নিয়ে নাচছেন ববি দেওল। নেপথ্যে বাজছে ‘জামাল কাদু’ গান। বিয়ের আসরে এই গানের মাধ্যমে ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে পর্দায় দেখা যায় ববিকে। সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত এই ছবির ‘জামাল কুদু’ গান এখন রীতিমতো হিট। নেটমাধ্যম খুললেই এখন এই গান। তারকা থেকে সাধারণ মানুষ— গা ভাসিয়েছেন ‘জামাল কুদু’-এ ছন্দে। শ্রোতারা দারুণ ভাবে গ্রহণ করেছেন এই গানটিকে। কিন্তু জানেন কি, এই গানের প্রকৃত অর্থ কী? উৎসই বা কী?
‘জামাল কুদু’ গানটি আসলে কোনও ভারতীয় গানই নয়, এটি ইরানের একটি লোকসঙ্গীত। গানটি গাওয়া হয় প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে ইরানের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৯৫০ দক্ষিণ ইরানে খারাজেমি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রথম বার গাওয়া হয় এই গানটি। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে এই গান। তার পর এই গানই যেন পারস্য সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে ওঠে। তবে গানটি জনপ্রিয়তা পায় সে দেশের কয়্যার গ্রুপের মাধ্যমে। ধীরে ধীরে ইরানের বিয়ের অনুষ্ঠানে গানটি গাওয়া যেন রেওয়াজে পরিণত হয়। সেই গানটি গাওয়া হয় ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে ববির তৃতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন। ‘জামাল জমলো কুদু’ গানটি নেওয়া হয়েছে খ্যাতনামী ইরানের কবি বিজান সামানদারের লেখা থেকে। ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে এই গানটি নতুন ভাবে ভারতীয় দর্শকদের কাছে তুলে ধরেছেন সুরকার হর্ষবর্ধন রামেশ্বর। গানের যে লাইনটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে, সেটি হল ‘জামাল জামালেক জামলো জামাল কুদু’। বাংলার এর অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘ও আমার প্রিয়, আমার ভালবাসা, আমার মিষ্টি ভালবাসা’।
ইরানের এই গানের অর্থ কী?
ও আমার প্রিয়, আমার হৃদয় নিয়ে খেলো না তুমি।
তুমি নিজের জীবনের নতুন শুরু করতে চলেছ, আমি যেন পাগল হয়ে উঠেছি আরও।
ও আমার প্রিয়, আমার ভালবাসা, আমার মিষ্টি ভালবাসা।