ম্যাথু পেরি। ছবি: সংগৃহীত।
গত ২৮ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন ‘ফ্রেন্ডস’ খ্যাত আমেরিকান অভিনেতা এবং কৌতুকশিল্পী ম্যাথু পেরি। শনিবার বাড়ির স্নানঘর থেকে উদ্ধার করা হয় অভিনেতার নিথর দেহ। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে জীবনাবসান জনপ্রিয় তারকার। অভিনেতার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে স্নানঘরের বাথটাবে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। তার পরে ম্যাথুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মৃত্যুর দিন কয়েক আগেও সমাজমাধ্যমের পাতায় সক্রিয় ছিলেন তারকা। ছবি পোস্ট করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন হ্যালোউইন উৎসব উদ্যাপনেরও। তার পরে হঠাৎ করেই মৃত্যু হয় ম্যাথুর। তারকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হার্ট অ্যাটাককে তাঁর মৃত্যুর কারণ বলে দাবি করা হলেও ম্যাথুর প্রাক্তন প্রেমিকার দাবি, মৃত্যুর আগে নাকি ফের মদে ডুবে গিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি ম্যাথুর প্রাক্তন প্রেমিকা কেটি এডওয়ার্ডস জানান, তাঁর ধারণা, মৃত্যুর আগে নাকি ফের মদের নেশা পেয়ে বসেছিল ‘ফ্রেন্ডস’ তারকাকে। কেটি বলেন, ‘‘আমি ম্যাথুকে যথেষ্ট ভাল ভাবে চিনি, জানি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ও এমনি এমনি জলে ডুবে যাবে না।’’ কেটির মতে, ‘‘আমার মনে হয় ও সেই সপ্তাহেই কোনও ওষুধ খেয়েছিল, যার প্রভাবে এমন ঘটনা ঘটে।’’ ম্যাথুর মৃত্যুর পর প্রাথমিক ভাবে পুলিশের তরফে জানানো হয়, জাকুজ়ির জলে ডুবে মারা গিয়েছেন ‘ফ্রেন্ডস’ খ্যাত অভিনেতা। দীর্ঘ দিন মদ ও ব্যথার ওষুধে আসক্ত থাকলেও গত বছর খানেক ধরে সব রকম নেশার থেকে দূরে ছিলেন ম্যাথু। মৃত্যুর সময় তাঁর বাড়িতে কোনও নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া যায়নি। তবে মিলেছিল বেশ কিছু অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট ট্যাবলেট। তা হলে ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হল অভিনেতার? ম্যাথুর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যদিও স্পষ্ট ভাবে কোনও কিছু বলা না হলেও তাঁর মৃত্যুর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকত্ব ধরা পড়েনি এখনও। যদিও টক্সিকোলজির রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনও কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
২০০৬ সালে কয়েক মাসের জন্য ম্যাথুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন কেটি। প্রেম ভাঙার পরেও একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁদের। ২০১১ সালে নাকি ম্যাথুর সহকারী হিসাবেও কাজ করেছিলেন কেটি।