তাঁর বাবার নাম ভিভিয়ান রিচার্ডস, মা নীনা গুপ্তা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটারের সঙ্গে ভারতের অভিনেত্রীর বলিউডি প্রেম। আশির দশকে তুমুল শোরগোল ফেলা সেই সম্পর্কেরই ফসল মেয়ে মাসাবা। যাঁর বড় হয়ে ওঠা একলা মায়ের কাছে। সে জন্য অবশ্য রাগ নেই ভিভের উপরে।
ভিভকে শ্রদ্ধা করেন মাসাবা। ভালওবাসেন।
ছোটবেলাটা আর পাঁচ জনের মতো কাটেনি তাঁর। মাসাবা গুপ্তার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, সবটাই ছিল কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু, লাগাতার চর্চার বিষয়। কারণ তাঁর বাবার নাম ভিভিয়ান রিচার্ডস, মা নীনা গুপ্তা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটারের সঙ্গে ভারতের অভিনেত্রীর বলিউডি প্রেম। আশির দশকে তুমুল শোরগোল ফেলা সেই সম্পর্কেরই ফসল মেয়ে মাসাবা। যাঁর বড় হয়ে ওঠা একলা মায়ের কাছে।
ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক তাঁর? ছোটবেলার স্মৃতিতে কতখানি জুড়ে রয়েছেন বাবা? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেন পেশায় পোশাকশিল্পী মাসাবা। ভারতে খেলতে এসে তাঁর মায়ের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন বিবাহিত ভিভ। সে সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পায়নি। ভিভ ফিরে গিয়েছিলেন স্ত্রী মিরিয়ামের কাছে। নীনার গর্ভে রয়ে গিয়েছিল সেই প্রেমের রেশ। সে জন্য বাবার উপরে অবশ্য কোনও রাগ নেই মেয়ে মাসাবার। নেই বাবাকে ছাড়া একা মায়ের কাছে বড় হওয়া নিয়ে কোনও জমাট বাঁধা অভিমানও। ভিভকে বরং অনেকখানি শ্রদ্ধাই করেন মাসাবা। ভালওবাসেন। ঠিক যেমনটা ভালবাসেন আর শ্রদ্ধা করেন মা নীনাকে।
আশির দশকে তুমুল চর্চিত নীনা-ভিভের প্রেম
বাবার সঙ্গে কাটানো ছোটবেলার দিনগুলো আজও বরং মেয়ের কাছে মধুর স্মৃতি। মাসাবার কথায়, “ছোটবেলা মানেই ছিল দেদার ঘুরে বেড়ানো। স্কুলে ছুটি পড়লেই প্লেনে চেপে আমি সোজা বিদেশে। আফ্রিকা কিংবা ইংল্যান্ড— বাবার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরছি। ওই সময়ে বাবা ক্রিকেটে ধারাভাষ্য দিতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরতেন।”
মাসাবা জানান, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত বাবা ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গেই দারুণ কেটেছে তাঁর ছুটির দিনগুলো। সে সময়ে ধারাভাষ্যের কাজে গোটা বিশ্বে ঘুরতেন ভিভ। প্রায়ই চলে আসতেন ভারতেও। ছোট্ট মাসাবার এমনিতে বাবার সঙ্গে থাকার সুযোগ হয়নি সে ভাবে। মা নীনা গুপ্তার কাছেই বড় হওয়া। তবে স্কুলের ছুটি পড়লেই বেরিয়ে পড়তেন তাঁরা।