একাধিক স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী ‘বছরের বেস্ট ২০২৪’। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
সোমবার সন্ধ্যায় তখন আনন্দবাজার ডট কমের ‘বছরের বেস্ট’ সন্ধ্যায় তারকার সমাহার। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তার ঝলক। তবে মঞ্চের বাইরেও সন্ধ্যার একাধিক মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে রইল।
সোমবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলিউড পরিচালক সুজিত সরকার। অনুষ্ঠানের আসরে পরিচালক গৌতম ঘোষের সঙ্গে তাঁর দেখা। সদ্য মুক্তি পেয়েছে সুজিত পরিচালিত ‘আই ওয়ান্ট টু টক’ ছবিটি। তা নিয়ে একপ্রস্ত কথাও হল দুই পরিচালকের।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে আড্ডায় (বাঁ দিক থেকে) রাঘব চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ এবং সুজিত সরকার। — নিজস্ব চিত্র।
অনুষ্ঠানের পর নৈশভোজেও একাধিক মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে রইল। পরিচালক সুমন ঘোষের সঙ্গে তখন আড্ডায় ব্যস্ত শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। আলোচনার বিষয়, বলিউডে কাজের পরিসর। প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গেই উপস্থিত সৃজিত মুখোপাধ্যায়। কিছু ক্ষণ পর শাশ্বতের সঙ্গে সৃজিতের চোখাচোখি। অভিনেতা সহাস্যে পরিচালকের পোষ্য সাপেদের খোঁজ নিলেন।
একসঙ্গে ক্যামেরার জন্য পোজ় দিলেন শ্রীকান্ত মোহতা এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
ও দিকে পরিচালক অনীক দত্তের সঙ্গে দেখা অভিনেতা জীতু কমলের। দু’জনে এক বার ঝালিয়ে নিলেন ‘অপরাজিত’ ছবির স্মৃতি। ইতিমধ্যে ফেলুদার বেশে পাওয়া গেল টোটা রায়চৌধুরীকে। নতুন ওয়েব সিরিজ়ের প্রচারের ফাঁকেই তিনি অনুষ্ঠানে। অভিনেতাকে দেখে এগিয়ে এলেন ঊষসী রায়। লাল গালিচায় টোটার সঙ্গে হাঁটলেন অভিনেত্রী। স্পষ্ট বললেন, ‘‘আমি ফেলুদার নই, টোটাদার ফ্যান।’’
নৈশভোজের আসরে অভিনেত্রী রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা সৃজিতের। ছোট পর্দার অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও ব্যস্ত পরিচালক তাঁর সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন। ‘বছরের বেস্ট’-এ উপস্থিত হয়েই মনোসমাজকর্মী রত্নাবলী রায়ের খোঁজ শুরু করলেন আর এক মনোসমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী। প্রায় তখনই সেখানে উপস্থিত গায়িকা প্রশ্মিতা পাল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয় অনুপমের গানে। তাই দম্পতিকে একসঙ্গে শুরুতে পাওয়া যায়নি। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের অনুরোধ রক্ষা করতে লাল গালিচায় একসঙ্গে হাঁটলেন অনুপম-প্রশ্মিতা।
সন্ধ্যায় অনেকেই আবার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত কাজ সামলে কিছুটা দেরিতে পৌঁছন। দেবলীনা দত্ত যেমন জানালেন, সাজতে গিয়ে কিছুটা সময় লেগেছে তাঁর। তবে লাল গালিচায় তাঁর উড়ন্ত চুম্বনের মুহূর্ত তত ক্ষণে ক্যামেরাবন্দি। ধারাবাহিকের শুটিং সেরে উপস্থিত হন রণজয় বিষ্ণু। কালো পোশাকে অভিনেতার সঙ্গে রংমিলন্তি সাজে উপস্থিত বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। দু’জনে মাতলেন খোশগল্পে। ও দিকে সৃজিতকে কাছে পেয়ে জীতু জানতে চাইলেন পরিচালকের আর ফেলুদা পরিচালনা না করার কারণ।
কাঞ্চন মল্লিক এসেছিলেন স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে। অভিনেতার জমকালো সাজের দায়িত্বে নাকি ছিলেন শ্রীময়ীই। অকপট কাঞ্চন বললেন, ‘‘এত গুণী মানুষের মধ্যে আমিও আমন্ত্রিত, তাতেই আপ্লুত!’’ গৌতম ঘোষ ও অতনু রায়চৌধুরীকে একদিন বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানালেন শ্রীময়ী। বেরিয়ে যাওয়ার আগে সঙ্গীতশিল্পী জোজার সঙ্গে দেখা কাঞ্চনের। শীতের মরসুমের ব্যস্ততা মিটতেই একসঙ্গে আড্ডার পরিকল্পনা সেরে ফেললেন কাঞ্চন-জোজো।
ক্যামেরার সামনে কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টোরাজ। —নিজস্ব চিত্র।
অনুষ্ঠানের সহ-সঞ্চালনার ভার সামলেছেন পাওলি দাম। বিকাল থেকেই তাঁর মুখে টেনশনের ছাপ ছিল স্পষ্ট। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে এক কোণে স্বামী অর্জুন দেবের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত অভিনেত্রী। বললেন, ‘‘শুনছি, সকলেই নাকি আমার সঞ্চালনা পছন্দ করেছেন। অনেকটা নিশ্চিন্ত হলাম।’’ নৈশভোজের আসরেই পাশাপাশি বসেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মমতাশঙ্কর এবং বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এক সময়ে তাঁর কাছেই নাচ শেখেন লকেট। সম্প্রতি, আনন্দবাজার অনলাইনের পাতায় লকেটের জন্মদিনে কলম ধরেন মমতাশঙ্কর। সেই প্রতিবেদনের জন্য অগ্রজকে ধন্যবাদ জানালেন লকেট।
একসঙ্গে ডিনার টেবিলে (বাঁ দিকে) লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং মমতাশঙ্কর। — নিজস্ব চিত্র।
তিনি ব্যস্ত অভিনেতা। অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন প্রসেনজিৎ। হোটেলের লবিতে গৌতম ঘোষের সঙ্গে দেখা তাঁর। দু’জনে হাসিমুখে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন। অতিথিদের আসা যাওয়ার মাঝে,অনুরাগীরা ছবি তোলার আবদার করছেন। তার মাঝেই হোটেলের লবিতে অভিনেতা আর মাধবন! একটি হিন্দি ছবির শুটিংয়ের জন্য শহরে রয়েছেন অভিনেতা। তাঁর সঙ্গেও নিজস্বী তোলার জন্য একদল উৎসাহী অনুরাগীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। এ রকমই একাধিক স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী থাকল এ বারের ‘বছরের বেস্ট’ সন্ধ্যা।