মানসিক চাপ মাত্রা ছাড়ালে দেশত্যাগ পর্যন্ত করতে হয়— সম্প্রতি এক সংবাদসংস্থাকে এমনই জানালেন মল্লিকা শেরাওয়াত।
বিতর্কের জন্য মাঝেমাঝে শিরোনামে উঠে এসেছেন মল্লিকা শেরাওয়াত । যথেষ্ট হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। মানসিক চাপ মাত্রা ছাড়ালে দেশত্যাগ পর্যন্ত করতে হয়েছে— সম্প্রতি এক সংবাদসংস্থাকে এমনই জানালেন তিনি।
২০০৩ সালে ‘খোয়াহিশ’ ছবির হাত ধরে প্রথম নজর কাড়েন মল্লিকা। তার পরের বছরই ‘মার্ডার’ ছবিতে সাহসী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান। সেই সময় যথেষ্ট হেনস্থাও হতে হয় তাঁকে। কেমন করে নিজেকে সামলালেন তিনি ওই কঠিন পরিস্থিতিতে? মল্লিকা বলছেন, ‘‘আমি দেশ ছেড়ে চলে যাই। এই ভাবেই সামলাই নিজেকে।’’ তাঁর কথায়, গণমাধ্যম এবং জনসাধারণের একটি অংশের কাছে অপদস্থ ও হেনস্থা হতে হয় তাঁকে। তিনি স্রেফ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই সংবাদসংস্থার সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে এই অসম্ভব মানসিক চাপ তিনি নিতে পারেননি, তাঁর মন ভেঙে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন যে মানসিক সুস্থতা ফিরে পাওয়ার জন্য তাঁকে দেশ ছাড়তেই হত।
গণমাধ্যমের একটি অংশের কাছে তিনি সমর্থনও পেয়েছেন সেই সময়। কিন্তু একটি অংশ, মল্লিকার দাবি, যথেষ্ট অনৈতিক ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা আমার নামে মিথ্যে কথা লিখত, ঘটনা অতিরঞ্জিত করে লিখত। অনেক মূলধারার সাংবাদিক ছিল যারা আমার নামের পাশে এমন উক্তি বসিয়ে দিত যা আমি বলিনি। কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গেও আমার নাম জড়ানো হয়েছিল।’’ এত কিছুর পরেই তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে এখন মেয়েদের জন্য পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। নগ্নতা ও যৌনতাও আগের তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় এখন সিনেমায় আসে। মল্লিকা তাতে যথেষ্ট আশার কারণ দেখছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে এখন অনেক বেশি সংখ্যক ওয়েব-সিরিজে নগ্নতা উঠে আসছে। এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোয় নগ্নতার গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে। সাহসী চরিত্রের জন্য মহিলাদের এখন আর নীচু চোখে দেখা হয় না।