২০০৪-এ পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেই ‘টিনসেল নগরী’-তে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন মল্লিকা।
বলিউডের ইঁদুরদৌড় থেকে দূরে থাকতেই ভালবাসেন মল্লিকা শেরাওয়াত। অন্যান্য তারকার মতো ভাড়া করা জনসংযোগকারীও রাখেননি। নিজের কাজ নিজেই সামলান অভিনেত্রী। কখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কখনও ভারত। বিভিন্ন চুক্তিতে কাজ করে চলেন। তার পরেও ভাবমূর্তি ঠিক নেই মল্লিকার। তাঁকে অভিনেত্রীর বদলে ‘সেক্স বম্ব’ বা যৌনতার প্রতীক হিসাবেই দেখা হয় এখনও, আক্ষেপ ‘মার্ডার’-এর নায়িকার।
মল্লিকার কথায়, “আমি নেটমাধ্যম পছন্দ করি না। নেতিবাচক দিক এত বেশি যে, রীতিমতো ঘৃণা করি বলা যায়। আমি নিজের সম্পর্কে অন্যের মতামত শুনতে চাই না।’’ ২০০৪-এ পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেই বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন ‘টিনসেল নগরী’-তে। মল্লিকার মোহময়ী উপস্থিতি, শরীরী আবেদনে উত্তাল ছিল বলিউড। তাঁর শরীরী ভাষায় পর্দায় আটকে যেত আমজনতার চোখ। বলিউডের সমালোচকদের চোখে মল্লিকা শেরাওয়াত ছিলেন ‘শরীরসর্বস্ব নায়িকা’। উইকিপিডিয়ার পেজেও তাঁকে বলিউডের ‘যৌন প্রতীক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই ভাবমূর্তি কী ভাবে ঠিক করা যায়, চিন্তিত মল্লিকা।
তাঁর দাবি, “উইকিপিডিয়ায় কারা এ সব লেখে? মানুষ কি এগুলোকেই গুরুত্ব দেয়? আমি নিজেও জানি না, কী ভাবে ঠিক করা যাবে এটা। তবে আমায় সত্যিই জানতে-বুঝতে হলে, আমাকেই দেখতে হবে। উইকিপিডিয়া বা নেটমাধ্যমে প্রচারিত ভুয়ো তথ্য নয়।”
‘মার্ডার’-এর পর আন্তর্জাতিক প্রকল্পে ডাক পেয়েছিলেন মল্লিকা। জ্যাকি চ্যানের সঙ্গে চিনের ছবি ‘দ্য মিথ’-এ অভিনয় করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা এতই সুন্দর যে, ভুলতে পারেননি এখনও। জানান, জ্যাকির মুখেই শুনেছিলেন নানা অজ্ঞাত তথ্য।
বর্তমানে আসন্ন ছবি ‘আর কে’-র প্রচারে ব্যস্ত মল্লিকা। প্রচারে এসে এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘‘জ্যাকি আমায় ভিডিয়ো টেপ দেখিয়েছিলেন। ‘দ্য মিথ’-এর জন্য এত জন বলিউড অভিনেত্রী অডিশন দিয়েছেন আমি জানতামই না। না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু চরিত্রটা আমিই পেয়েছিলাম। সে জন্য গর্ববোধ করি। নির্মাতারা আমার ফিটনেস পছন্দ করেছিলেন। যে হেতু আমি নিয়মিত যোগাসন করি।’’