মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়-ঐশ্বর্য চৌধুরী।
মধুমাসে মধুরেণ সমাপয়েৎ! বেশ কিছু দিন প্রেমটেমের পর শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি সাতপাক মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়-ঐশ্বর্য চৌধুরীর। পাত্র টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা। বড় পর্দায় রমরমিয়ে চলছে তাঁর ‘বাবা বেবি ও...’। ছোট পর্দায় ‘ধুলোকণা’। পাত্রী প্রথম সারির গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার কার ডিজাইনার! দুই ভিন্ন পেশার এমন সহবস্থান চট করে চোখে পড়ে না! কী করে ঘটল ব্যাপারটা? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পাত্রের সঙ্গে। মৈনাকের দাবি, ‘‘ মানুষের থেকেও আমার বেশি প্রেম গাড়ির সঙ্গে! গাড়ি আমার নেশা। লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়ি সুযোগ পেলেই। আমার এক তুতো-দাদার মাধ্যমে আলাপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে সেই আলাপ গাঢ় হয়েছে। যেই শুনেছি পেশায় কার ডিজাইনার, ‘ঝটকা’ খেয়েছি তক্ষুণি। আর ভাবিনি!’’
তারও পর আছে। অভিনেতা যেই শুনেছেন, তাঁর প্রিয় ‘থর’ গাড়ির ডিজাইনার ঐশ্বর্য, সঙ্গে সঙ্গে নাকি হবু বউয়ের কাছে বায়না জুড়ে দিয়েছিলেন, ‘‘আর কিচ্ছু চাই না। যৌতুকে ওই গাড়িটি হলেই হবে!’’ এটা যদি ছোট পর্দার ‘তান’-এর বক্তব্য হয় তা হলে অভিনেতা স্বামী সম্পর্কে ঐশ্বর্যর কী অনুভূতি? সে কথাও ফাঁস করেছেন অভিনেতা নিজেই। তাঁর কপট আক্ষেপ, ‘‘আবীর চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত আর দেব ছাড়া ও আর কোনও অভিনেতাকেই চেনে না! আমার অভিনীত দৃশ্যের ভিডিয়ো ক্লিপ (বিহাইন্ড দ্য সিন) দিয়ে নিজেকে চেনাতে হয়েছে! কী কপাল!’’ অভিনেতা স্বামী শুনে আহ্লাদে আটখানা? নাকি আগের, বর্তমানের এবং আগামী দিনের গুঞ্জন নিয়ে শঙ্কিত? শুনেই হাসিতে ফেটে পড়েছেন মৈনাক। বক্তব্য, ‘‘আমি সব কিছুই জানিয়েছি। মনে হয়েছিল, এই রে নাকচ করে দিল বোধ হয়। দেখলাম, শুনে তেমন কিছু বলল না! আসলে, বড় বড় গাড়ি সামলায় তো। আমাকেও সামলে নিতে পারবে।’’
মিয়াঁ-বিবির আরও এক জন ‘কমন ফ্রেন্ড’ পোশাক ডিজাইনার অভিষেক রায়। দু’জনেই তাঁর পোশাকেই সাজবেন। দু’জনেরই কাজের প্রচণ্ড চাপ। দিন কয়েকের ছুটি পেয়েছেন। বিয়ে সেরেই কাজে ফিরতে হবে। মধুচন্দ্রিমা পর্ব আপাতত তুলে রেখেছেন। শুক্রবার তাই বিয়ে, আপ্যায়ন একসঙ্গে হবে। বাড়িতে ছোট করে হবে ভাত-কাপড়ের অনুষ্ঠান। হিন্দু রীতি মেনে কন্যা সম্প্রদান করে চার হাত এক হবে। মৈনাক ওই দিন সাজবেন মেরুন শেরওয়ানি, ঘিরে চোস্ত পাজামায়। কনে ঝলমলে চিরন্তন লাল বেনারসিতে। পেটপুজোরও এলাহি আয়োজন। তালিকায় কড়াইশুঁটির কচুরি, ছোলার ডাল, পাতুরি, পনিরের তরকারি, মাটন বিরিয়ানি, চিকেন কষা। মিষ্টিমুখ হবে নলেন গুড়ের রসগোল্লা, জিলিপি, মালপোয়া, রাবড়ি দিয়ে।