মহিমা চৌধুরী।
সাল ১৯৯৭ থেকে ২০২১। মাঝে ২৪ বছরের ব্যবধান। বলিউডের এ কাল সে কাল কেমন?
সম্প্রতি মুখ খুললেন মহিমা চৌধুরী। সুভাষ ঘাইয়ের ‘পরদেশ’ ছবির নায়িকা ‘স্পষ্টভাষী’। বলিউড সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, ‘‘আগে ধারণা ছিল, নায়িকা মানেই কুমারী হতে হবে। কোনও পুরুষ তাঁকে ছুঁতে পারবে না। তবেই বলিউড তাঁকে নায়কের বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ দেবে। পুরনো বলিউড এতটাই গোঁড়া ছিল!’’ দুই যুগ পেরিয়ে সেই বলিউডের পালেও নাকি আধুনিকতার হাওয়া! মহিমার কথায়, এখন নায়িকারা জোরালো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি, নানা সংস্থার প্রচার মুখও হতে পারছেন। বলিউডে প্রচুর পরিবর্তন। তিনি খুশি।
নায়িকাদের কথা প্রসঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই উঠে এসেছে ইন্ডাস্ট্রিতে নায়কদের অবস্থানও। ‘ধড়কন’ ছবির ‘শীতল’-এর কটাক্ষ, নায়কেরা বিবাহিত কিনা, দর্শকেরা খোঁজই রাখেন না! উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’-এর কথা। প্রথম ছবিতে নায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল বিবাহিত আমির খানকে! অভিনেতার অনুরাগীরা দীর্ঘদিন বিষয়টি জানতেনই না। অথচ, এক জন নায়িকা কারওর সঙ্গে ডেট করলেই তাঁর প্রতি আগ্রহ হারাত বলিউড। বিয়ে করে ‘মা’ হলে কথাই নেই। টিনসেল টাউন মুখের উপরে দরজা বন্ধ করে দিত।
এখন নায়কদের প্রায় কাছাকাছি পারিশ্রমিক পান নায়িকারা। কোনও কোনও ছবিতে তাঁদের পারিশ্রমিক ছাপিয়ে যায় পুরুষ অভিনেতাদের পারিশ্রমিককে। ফলে, তাঁদের পায়ের তলার মাটি শক্ত হচ্ছে। তাঁরাও তাঁদের ইচ্ছে-অনিচ্ছের কথা জানাতে পারছেন। পাশাপাশি, ‘নায়িকা’ তকমা সরেছে। ইদানিং সবাই অভিনেত্রী। মহিমার মতে, ‘‘এই পদক্ষেপ অত্যন্ত ইতিবাচক। এতে কাউকে আর কোনও নির্দিষ্ট গণ্ডিতে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে না।’’