২০২২ সালে বেআইনি ভাবে নির্মিত এই স্টুডিয়োটি পরিবেশ মন্ত্রক এবং ইডির নজরে আসে। ছবি—সংগৃহীত
বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বহু ছবির স্মৃতিবিজড়িত ‘মধ আইল্যান্ড’ স্টুডিয়ো। মুম্বইয়ের সেই স্টুডিয়োতে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘রাম সেতু’, সইফ আলি খান অভিনীত ‘আদিপুরুষ’ ছবির শুটিং হয়েছিল সম্প্রতি। তবে আর নয়, মুম্বই পুরনিগম (বিএমসি) এ বার ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে সেই স্টুডিয়োটি।
স্টুডিয়োর মালিক ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা আসলাম শেখ। ২০২২ সালে বেআইনি ভাবে নির্মিত এই স্টুডিয়োটি পরিবেশ মন্ত্রক এবং ইডির নজরে আসে। ওই বছর অগস্ট মাসে মহারাষ্ট্রের পরিবেশ দফতর মুম্বই পুরনিগম এবং মুম্বইয়ের কালেক্টরকে নির্দেশ দেয় স্টুডিয়োটির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার।
অভিযোগ, স্টুডিয়োটি নির্মিত হয়েছিল কোস্টাল্স রেগুলেশন জ়োন আইন ভঙ্গ করে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয় স্টুডিয়োটি ভেঙে ফেলার। সেই মতোই পদক্ষেপ করে মুম্বই পুরনিগম।
বিজেপি নেতা কিরিট সোমাইয়া দাবি করেছেন, আইনবিরুদ্ধ ভাবে স্টুডিয়োটি তৈরি হয়েছে জেনেও বিএমসি কমিশনার ইকবাল চহাল কোনও পদক্ষেপ করেননি। তাই তাঁরা মুম্বই পুরনিগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানান।
তাঁর আরও অভিযোগ, শিবসেনা বিধায়ক আদিত্য ঠাকরের প্রশ্রয়েই তৈরি হয় স্টুডিয়োটি। তিনি এসেওছিলেন এই স্টুডিয়োতে।
অবশেষে স্টুডিয়োটি ভাঙা হয়েছে বলে সন্তুষ্ট গেরুয়া শিবির। কিরিট নিজেও দাঁড়িয়ে থেকে স্টুডিয়ো ভাঙার কাজ তদারকি করেন।
সোমাইয়া দাবি করেন, এই এলাকার ৪৯টি স্টুডিয়ো থেকে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। অনেক বড় বাজেটের ছবির শুটিং হয়েছে এখানে। তাঁর অভিযোগ, এই সব বেআইনি নির্মাণে মদত দিয়েই আয় করছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার।