অস্কারের মঞ্চ থেকে সোজা হাসপাতালে গিয়েছিলেন গুনীত, জানালেন কীরাবাণী। ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের ১২ মার্চ (ভারতীয় তারিখ অনুযায়ী ১৩ মার্চ), অস্কারের মঞ্চে নজির গড়েছেন দুই মহিলা সিনেনির্মাতা। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রের বিভাগে সেরার শিরোপা অর্জন করেছে ভারতীয় ছবি ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। পাশাপাশি ‘আরআরআর’ ছবির ‘নাটু নাটু’ গানের হাত ধরে ভারতের ঝুলিতে এসেছে চলতি বছরের দ্বিতীয় অস্কার। মৌলিক গানের বিভাগে রিয়ানা, লেডি গাগার মতো তারকাদের টেক্কা দিয়ে অস্কার জিতে নিয়েছেন ‘নাটু নাটু’ গানের সঙ্গীত পরিচালক এমএম কীরাবাণী ও গীতিকার চন্দ্র বোস। অস্কারজয়ের উচ্ছ্বাস তো ছিলই, তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পরে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্যে যেতে হয়েছিল গুনীত মোঙ্গাকে। অস্কারের প্রায় সপ্তাহ দুয়েক পরে সেই ঘটনার কথা জানালে কীরাবাণী নিজে।
অস্কারের মঞ্চে উঠে সম্মান গ্রহণ করার অভিজ্ঞতা ঠিক কেমন ছিল? প্রশ্নের উত্তরে কীরাবাণী বলেন, ‘‘আমি ব্রহ্মাণ্ডের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম এবং সেই প্রার্থনার ফল আমি পেয়েছি। আমার মনে আছে, আমাদের নাম ঘোষণার পরে আমি খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম।’’ তবে উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি নাকি আরও এক আশঙ্কাজনক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁদের। কীরাবাণী জানান, অনুষ্ঠানের পরেই নাকি গুনীতকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। কীরাবাণীর কথায়, ‘‘অস্কারের মঞ্চে গুনীত কথা বলার সুযোগ পাননি। তার পরেই ওঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ওঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।’’
অস্কারের মঞ্চে নিজের বক্তব্য রাখার সুযোগ না পাওয়ার হতাশার কথা আগেই জানিয়েছেন অস্কারজয়ী ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ তথ্যচিত্রের প্রযোজক গুনীত। চূড়ান্ত মনোনয়নের তালিকা থেকে বিজয়ী ঘোষণার পর পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠেছিলেন তথ্যচিত্রের পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস ও প্রযোজক গুনীত মোঙ্গা। পুরস্কার গ্রহণ করে কার্তিকি বক্তব্য রাখলেও কিছু বলার সুযোগ পাননি গুনীত। এক প্রকার ‘হতাশ’ হয়েই মঞ্চ থেকে নেমে আসতে হয় গুনীতকে। সদ্য অস্কারজয়ী প্রযোজকের চোখেমুখে তখন স্পষ্ট হতাশার ছাপ, গুনীত বলেন, ‘‘আমি আমার বক্তব্য রাখার সুযোগই পাইনি। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি শুধু এইটুকুই বলতে চেয়েছিলাম যে, ভারতীয় প্রযোজনা হিসাবে এটাই ভারতের প্রথম অস্কার। যেটা আমার মতে বেশ বড় একটা ব্যাপার।’’ মঞ্চ থেকে নামার সময় চোখেমুখে অস্কারজয়ের হাসি তো ছিলই না, বরং বেশ বিরক্ত দেখায় গুনীতকে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি এত দূর এসে নিজের কথা বলতে পারব না, এটা হতে পারে না। আমি ফিরে যাব এবং আমি নিজের কথা বলেই ছাড়ব।’’ অনুষ্ঠানের পরে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে দেশে ফিরে এসেছেন গুনীত। দেশের মাটিতে নিজের কথা গুছিয়ে বলেই ছাড়বেন তিনি, আত্মবিশ্বাসী অস্কারজয়ী প্রযোজক।