অমিতাভ- স্বানন্দ
গান আমাদের আনন্দ দেয়, দুঃখ ভোলায়... কিন্তু বাকি সব কিছুর মধ্যে বাদ পড়ে যায় গানের গীতিকারের পরিচয়। ইউটিউব থেকে শুরু করে বিভিন্ন মিউজ়িক অ্যাপে গানের ক্রেডিট লাইনে হামেশাই লিরিসিস্টের নাম বাদ পড়ে। এই ‘ব্রাত্য’ করে রাখা নিয়েই ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির গীতিকারেরা এ বার প্রতিবাদে শামিল। প্রতিবাদস্বরূপ পনেরো জন গীতিকার একটি ভিডিয়ো বানিয়ে পোস্ট করেছেন, যার মূল বক্তব্য ‘ক্রেডিট দে দো ইয়ার’। এই তালিকায় রয়েছেন স্বানন্দ কিরকিরে, অমিতাভ ভট্টাচার্য, বরুণ গ্রোভার, নীলেশ মিশ্র, কৌসর মুনির, মনোজ মুনতাশির, অন্বিতা দত্তেরা। ‘‘আমাদের মুখ হয়তো আপনাদের মনে থাকবে না কিন্তু আমরা যে কাজটা করি তার জন্য যদি নাম মনে থাকে, তা হলে সেটাই অনেক। আমরা কিচ্ছু চাইছি না, শুধু নিজেদের লেখা গানের জন্য স্বীকৃতি চাইছি,’’ ওই ভিডিয়োয় বলেছেন বরুণ গ্রোভার।
লিরিসিস্টদের মূল আপত্তি, বিভিন্ন মিউজ়িক অ্যাপগুলো গানের বাকি সব ক্রেডিট দিলেও ফাঁকি পড়ে যায় লেখকদের নাম। ‘দিল বেচারা’র গান বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। সেখানে সুরকার হিসেবে এ আর রহমানের নাম থাকলেও, গীতিকার অমিতাভ ভট্টাচার্যর নাম নেই। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রিনশট দিয়ে উদাহরণ দিয়েছেন স্বানন্দ কিরকিরে। ভিডিয়োর মাধ্যমে গীতিকারেরা অভিযোগ তুলে ধরেছেন। ভিডিয়োর গানটি লিখেছেন বরুণ আর স্বানন্দ। সুর দিয়েছেন চিন্ময়ী ত্রিপাঠী এবং জোয়েল মুখোপাধ্যায়। ‘ছোট উদ্যোগ’এর মধ্য দিয়েই ‘বড় বার্তা’ দিতে চেয়েছেন শিল্পীরা।
গীতিকারদের এই উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন হনসল মেহতা, অনুরাগ কাশ্যপের মতো পরিচালকেরা। ভিডিয়োয় না থাকলেও সমর্থন জানিয়ে পোস্ট করেছেন গীতিকার ইরশাদ কামিল। পাশে দাঁড়িয়েছেন সুরকার শান্তনু মৈত্র, প্রীতম প্রমুখ।