লাকির সুরেলা কণ্ঠের জগৎজোড়া অনুরাগী।
‘ও সনম’, ‘এক পল কা জিনা’-র আবেদন যাঁর কেবল কণ্ঠে নয়, সত্তা জুড়েও, তিনি লাকি আলি। গায়ক বললেন, অষ্টম সুরেই মোক্ষ। যে সুর নীরবতার, শান্তির। সেখানেই শিল্পী হিসাবে পৌঁছতে চান লাকি।
তবে শৈশব থেকে যৌবন, আদৌ এত কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলেন কি? এক সাক্ষাৎকারে লাকি জানান, বাবা মেহমুদের স্বপ্নে বাঁচতে চাননি তিনি। মেহমুদ চাইতেন ছেলে অভিনয়ে আসুক। সেই ইচ্ছে এতই প্রবল ছিল যে ভয়ে পালিয়েছিলেন লাকি। সব ছেড়ে কার্পেট পরিষ্কারের ব্যবসায় নেমেছিলেন। অভিনয়ে তাঁর কোনও আগ্রহ ছিল না।
সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে এখন লাকির। বললেন, ‘‘বাবা চেয়েছিলেন আমি অভিনয় করি, কিন্তু সময়টা ব্যাপক ভাবে বদলে গিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল লাকি যে একদমই অভিনয় করেননি, তা নয়। তাঁর অভিনীত ‘সুর’ নামের এক ছবি মুক্তি পেয়েছিল ২০০২ সালে। এই ছবির গানগুলি জনপ্রিয় হলেও ছবি তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। দর্শক-সমালোচকদের মনেও সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। তবে সিনেমায় সে ভাবে অভিনয় না করলেও লাকি তাঁর বেশির ভাগ মিউজিক ভিডিয়োতে অভিনয় করেছিলেন বটে।
লাকির সুরেলা কণ্ঠের জগৎজোড়া অনুরাগী। এ দিকে গায়কের সাফ জবাব, তিনি নিজেকে বেসুরো মনে করেন। লাকির কথায়,‘‘আমি গান শিখিনি। কোনও প্রশিক্ষণ নেই। কিন্তু আমি পদ্ধতির উপর আস্থা রাখি। যা করি তা হৃদয় দিয়ে। রিয়াজ করি না। প্রতিটা কনসার্টে পারফরম্যান্সের আগে দুয়া করি, বাকিটা ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দিই।’’
লাকি জানান, বলিউডের জনপ্রিয় গানের ভিড়ে নিজের সুর মিশিয়ে দিতে চান না। তাঁর পথ অন্য। বললেন, ‘‘সরগমের সাতটি নোটে সব কিছুই আছে, কিন্তু আমি নিরন্তর অনুসন্ধানে আছি। অষ্টম স্বর পেতে চাই। যা নীরবতার অবস্থান, মোক্ষ। আমি এক জন শিল্পী হিসাবে সেখানে পৌঁছতে চাই।”