কিশোর কুমার তখন ইতিমধ্যেই তিন বার বিবাহিত। বয়সের ফারাকও অনেকটাই। মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ের ভাবনা শুনেই আঁতকে উঠেছিলেন লীনার বাবা। ‘মনচলি‘-সহ একাধিক ছবিতে তাঁর নায়ক সঞ্জীব কুমারও সাবধান করেছিলেন লীনাকে। বলেছিলেন, ‘‘ভাল চাও তো কিশোরকে রাখি পরিয়ে দাও।’’
কুড়ি বছরের বড় কিশোরকে বিয়ে করেন লীনা।
প্রথম দেখাতেই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্বয়ং কিশোর কুমার! মুখের উপরে সটান ‘না’ বলে দেন লীনা চন্দভারকর। তার পরে কী করে কুড়ি বছরের বড় কিংবদন্তি গায়কের ঘরনি হলেন সত্তর দশকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী? এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছেন ‘হামজোলি’র নায়িকা।
ছবির সেটেই তাঁর সঙ্গে প্রথম দেখা কিশোর কুমারের। সে দিনই নাকি তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন গায়ক। লীনা তখন সদ্যবিধবা, বছর পঁচিশের তরুণী। বয়সে কুড়ি বছরের বড় গায়ককে তাই প্রথমে বিয়ে করতে রাজি হননি অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘কিশোর কুমার প্রথম দিনই আমায় জিজ্ঞেস করেন, আমি জীবনে সেটল করতে চাই কি না। প্রথমটায় বুঝতে পারিনি। তার পরে আমায় সরাসরিই বললেন, উনি আমায় বিয়ে করতে চান। সঙ্গে সঙ্গেই না বলে দিই।’’
কিশোর কুমার তখন ইতিমধ্যেই তিন বার বিবাহিত। বয়সের ফারাকও অনেকটাই। মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ের ভাবনা শুনেই আঁতকে উঠেছিলেন লীনার বাবা। ‘মনচলি‘-সহ একাধিক ছবিতে তাঁর নায়ক সঞ্জীব কুমারও সাবধান করেছিলেন লীনাকে। বলেছিলেন, ‘‘ভাল চাও তো কিশোরকে রাখি পরিয়ে দাও। না হলে ওকেই বিয়ে করতে হবে শেষমেশ।’’
কিন্তু এত আপত্তি, বাধা পেরিয়েও কী ভাবে বিয়ে হল কিশোর-লীনার?
সাক্ষাৎকারে লীনা জানান, এক দিন বাড়িতে বাবার সঙ্গে তুমুল ঝগড়া হয় তাঁর। রাগের মাথায় বাবা মেয়েকে ‘ঝামেলা’ বলে উল্লেখ করেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘রাগে-দুঃখে-অপমানে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এর চেয়ে কাউকে বিয়ে করে তার সংসারে থাকা ভাল। তাই সোজা বেরিয়ে কার্টার রোডের বুথ থেকে কিশোর কুমারকে ফোন করি। জিজ্ঞেস করি, আপনার বিয়ের প্রস্তাব কি এখনও বহাল রয়েছে?’’
এক ফোনেই কিশোরও রাজি। বিয়ে হয়ে যায় বলিউডের এই অসমবয়সী জুটির। পরবর্তীতে কিশোর-লীনার সন্তান সুমিত কুমারের জন্ম। লীনার বাবাও মেনে নিয়েছিলেন মেয়ে-জামাইকে।