(বাঁ দিকে) সলমন খান (ডান দিকে) লরেন্স বিষ্ণোই। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছর ১৪ এপ্রিল সলমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। দিন কয়েক আগে রাজস্থান থেকে ধরা পড়ে মহম্মদ চৌধুরি। বন্দুকবাজদের অর্থের জোগান দিয়েছিল ধৃত। এমনকি, রেকি করার দিনেও তাদের সঙ্গে ছিল বলে অভিযোগ। রাজস্থান থেকে ধরা হয় তাকে। এছাড়াও সলমনের বাড়ির গুলিকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন আরও ৬ বন্দুকবাজ। আর এদের সকলের মাথা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সলমনকে খুন করতে এদের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
সলমন খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে গুলি চালায় বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যেরা। অভিনেতার বাড়ির দেওয়ালে দু’টি গুলি চালায় তারা। ফুটো হয়ে যায় অভিনেতার ফ্ল্যাটের দেওয়াল। গোটা ঘটনায় নড়েচড়ে বসে মহারাষ্ট্র সরকার-সহ মুম্বই পুলিশ। দেরি না করেই তড়িঘড়ি শুরু হয় তদন্ত।
ঘটনার দু’দিনের মাথায় দুই বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর ধরা পড়ে সেই দু’জন, যারা বন্দুকবাজদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। তারা হল অনুজ থাপন ও সোনু বিষ্ণোই। বন্দুকবাজদের বয়ান অনুযায়ী, সলমনের বাড়িতে তারা ১০ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিল। তার পরে সুরাতের তাপ্তী নদীতে বন্দুক ফেলে দেয় তারা। শোনা গিয়েছে, এর মধ্যেই নদী থেকে একটি বন্দুক ও কিছু কার্তুজ উদ্ধার করেছে মুম্বই অপরাধ দমন শাখা। এ দিকে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীনই আত্মহত্যা করেন অনুজ। তার পরই ধরা পড়ে রফিক। শোনা যায়, বন্দুকবাজদের গুলি চালানোর জন্য হরপাল নাকি ২-৩ লক্ষ টাকা দেয়। যদিও এই ঘটনায় আরও জোরদার হয় সলমনের নিরাপত্তা। সলমনকে হত্যা করার জন্য পাকিস্তান থেকে শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। তা ছাড়া, ২০২২-এ পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার হত্যার সঙ্গেও এর যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিধু মুসে ওয়ালাকে হত্যা করতে যে আগ্নেয়াস্ত্রর ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই একই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সলমনকে হত্যার ছক কষেছিল বিষ্ণোই গ্যাং। এমনকি, হত্যার ছক কষার জন্য লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের কয়েক জন সলমনের পানভেলের বাড়িতে গিয়ে রেকি পর্যন্ত করে এসেছিল বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই প্রসঙ্গে নিজের বয়ান পুলিশের কাছে রেকর্ড করলেও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি সলমন।