প্রয়াত অভিনেতা শম্মি কপূরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর স্ত্রী নীলা দেবী। ছবি: সংগৃহীত।
‘চায়না টাউন’ থেকে ‘কাশ্মীর কি কলি’— সত্তরের দশকের বলিউডে অবাধ বিচরণ তাঁর। ‘তিসরি মনজ়িল’ থেকে ‘প্রেম রোগ’, বা ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’— তাঁর উপস্থিতি ঔজ্জল্য বাড়িয়েছে বড় পর্দার। দর্শকদের নজর কেড়েছেন নিজের অভিনয় দক্ষতা ও ‘স্ক্রিন প্রেজেন্স’ দিয়ে। সেই শাম্মি কপূরের ব্যক্তিগত জীবন ঠিক কেমন ছিল? দাম্পত্য জীবনে কেমন মানুষ ছিলেন কপূর পরিবারের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র? প্রয়াত অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নীলা দেবী।
অভিনেত্রী গীতা বালিকে বিয়ে করেছিলেন শাম্মি কপূর। তখন বলিউডের নামজাদা অভিনেতা তিনি। ১৯৬৫ নাগাদ শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রয়াত হন গীতা বালি। তার বছর চারেক পরে ১৯৬৯ সালে নীলা দেবীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন শাম্মি কপূর। গীতা বালির মৃত্যুর পর নীলা দেবীই একমাত্র সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেতার। ব্যক্তিগত পরিসরেই তাঁর সঙ্গে বিয়ে সারেন শাম্মি কপূর। তবে বিয়ের পরেও তেমন সুখের ছিল না নীলা দেবীর সাংসারিক জীবন।
নীলা দেবী জানান, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করতেন অভিনেতা। মদে এই আসক্তি থেকেই রাগও বেড়ে গিয়েছিল শাম্মি কপূরের। পার্টিতে বা অন্য কোনও জলসায় মাঝেমধ্যেই রাগ হাতের বাইরে চলে যেত তাঁর। রাগে দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে কী বলতেন বা কী করতেন তাও খেয়াল থাকত না অভিনেতার। পরের দিন সকালে উঠে নাকি নীলা দেবীকে শাম্মি জিজ্ঞাসা করতেন আগের রাতের কাণ্ডকারখানার কথা। নীলা দেবী জানান, আগের রাতেই রেগে কাঁই হয়ে থাকলেও পরের দিন সকালে আর তার ছাপ থাকত না শাম্মির মধ্যে। তখন তাঁকে বুঝিয়ে বললে নিজের দোষ বুঝতেও পারতেন অভিনেতা। তবে চেষ্টা করেও মদে আসক্তি কমাতে পারেননি শাম্মি কপূর। এক ঘটনার কথা মনে করে নীলা দেবী বলেন, ‘‘হয়তো পার্টিতে তাঁর পায়ে কারও পা লেগে গেল। পার্টিতে তো এমন হতে থাকে। কিন্তু এগুলোয় তিনি খুব রেগে যেতেন।’’
শুধু মদে নয়, সিগারেটের নেশাতেও আসক্ত ছিলেন শাম্মি কপূর। এমনকি, এক সময় দিনে ১০০টা সিগারেটও খেয়েছেন অভিনেতা। তবে ২১ জানুয়ারি প্রথম স্ত্রী গীতা বালির মৃত্যুদিন হওয়ায় প্রতি পয়লা থেকে ২১ জানুয়ারি তাঁর স্মরণে সব রকম নেশা থেকে দূরে থাকতেন তিনি। জানান শাম্মি কপূরের দ্বিতীয় স্ত্রী নীলা দেবী।