লতার স্মৃতিচারণে কুমার শানু
‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’, ‘পেয়ার কো হো জানে দো’, গানগুলি শুনলেই যেন দু’টি কণ্ঠস্বর কানে ভাসে। এক জন কুমার শানু। অন্য জন লতা মঙ্গেশকর। রবিবার সকালে গানের জগৎ শূন্য করে চলে গেলেন সেই কিংবদন্তি মহিলা কণ্ঠ। অন্য জন তাঁরই স্মৃতি আঁকড়ে বসে। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলার সময়ে ফিরে দেখলেন ফেলে আসা সময়, যখন একই রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় দিন কেটেছে তাঁদের।
কুমার শানুর কথায়, ‘‘অনেক গান গেয়েছি লতাজির সঙ্গে। মানুষের মন জয় করতে পেরেছে সেই গানগুলি। আমার মতে, ওঁর মতো অভিজ্ঞতা গোটা বিশ্বে আর কারও নেই।’’ রেকর্ডিং স্টুডিয়ো বা গানের অনুশীলনের সময়ে শানু অনেক কিছু শিখেছেন লতার কাছ থেকে। তাঁর আত্মবিশ্বাসে বারবার শান দিয়েছেন প্রয়াত গায়িকা। লতার প্রশংসাবাক্যগুলি আজ মনে পড়ছে শানুর। তাঁর জীবনে সেই সব কথাই সব থেকে বড় অনুভূতি এবং প্রাপ্তি বলে জানালেন শিল্পী। শানুর কথায়, ‘‘ওঁর চলে যাওয়ায় শুধু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হল না, গোটা দুনিয়া এক কিংবদন্তি কণ্ঠস্বর হারাল।’’
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন নবতিপর শিল্পী। প্রথম থেকেই তাঁকে আইসিইউ-য়ে রাখা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যায় শেষ পর্যন্ত লড়াই থেমেই গেল লতার।