২০ মে গায়ক-রাজনীতিবিদ মুসে ওয়ালাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা।
সিধু মুসে ওয়ালা হত্যাকাণ্ডে শনিবার অভিযুক্ত ছয় শ্যুটারের মধ্যে শেষ জনকে গ্রেফতার করল পঞ্জাব পুলিশ। এর আগে দিল্লি পুলিশের জালে পড়েছিলেন তিন শ্যুটার। এনকাউন্টারের সময় অন্য দু’জন মারা যায় পঞ্জাব পুলিশ।
পলাতক ছিল দীপক ওরফে মুন্ডি। পঞ্জাব পুলিশের তরফে ডিজি গৌরব যাদব জানান, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-নেপাল সীমান্ত থেকে তাকে ধরা গিয়েছে। সঙ্গে ছিল তার দুই সহযোগী।
চলতি বছর ২০ মে, পঞ্জাবের মানসা জেলার গায়ক, রাজনীতিবিদ মুসে ওয়ালাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ঠিক তার আগের দিন পঞ্জাবে ৪২৪ জনের নিরাপত্তা তুলে নেয় সরকার। তার পরেই এই ঘটনা।
কিছু দিন আগেই মুসে ওয়ালাকে শ্রদ্ধা জানাতে মানসা শহরে একটি মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমকে সিধুর বাবা বলকাউর সিংহ বলেছেন, “সিধুর মৃত্যুর পরে আমি জানতে পেরেছি... সে শুধু আমার ছেলে নয়, প্রতিটি পরিবারের ছেলে।” তিনি আরও জানান, গোটা দেশ তাঁর ছেলেকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সবার চোখে জল দেখেছেন। সব শেষে ছলছল চোখে বলকাউর বলেন, “সিধুর বাবা হতে পেরে আমি গর্বিত।”
এই ঘটনার পর পরই ইমেলে হুমকি পেয়েছিলেন বলকাউর। গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে স্বর তুললে প্রাণসংশয় হতে পারে তাঁর, সেই মর্মে হুমকি দিয়েছিল রাজস্থানের এক বাসিন্দা। বুধবার সেই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে মানসা পুলিশ।