পারিবারিক ধারা মেনে পা রেখেছিলেন অভিনয়ে। কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো সাফল্য পাননি। ব্যর্থতায় ডুবে না গিয়ে নিজের অন্য পরিচয় তৈরি করেছেন শশী কপূরের ছেলে, কুণাল কপূর।
শশী ও জেনিফার কপূরের বড় ছেলে কুণালের জন্ম ১৯৫৯ সালের ২৬ জুন। ভাই করণ ও সঞ্জনার সঙ্গে কপূর পরিবারের আবহে বড় হওয়া মুম্বই শহরেই।
মাত্র ১৩ বছরে প্রথম অভিনয় ইন্দো আমেরিকান ছবি ‘সিদ্ধার্থ’-এ। সেই ছবিতে গৌতম বুদ্ধের ছেলে রাহুলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কুণাল। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে মাত্র কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন কুণাল। বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরেও কোনওদিনই বলিউডের প্রথম সারির নায়ক হতে পারেননি। তা নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ ছিল না। জীবনকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছেন শশীপুত্র।
‘সিদ্ধার্থ’-র পরে যে যে ছবিতে তিনি কাজ করেছেন, সেগুলি হল ‘জুনুন’, ‘বিজেতা’, ‘আহিস্তা আহিস্তা’, ‘উৎসব’ এবং ‘ত্রিকাল’। ১৯৮৫ সালে ত্রিকাল মুক্তি পাওয়ার পরে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেন।
ত্রিশ বছরের ব্যবধান কাটিয়ে কুণাল অভিনয়ে ফেরেন ২০১৫-এ। অভিনয় করেন ‘সিং ইজ ব্লিং’ ছবিতে। ২০১৯-এ তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘পানিপথ’ ছবিতেও। অভিনয় করেছেন সুজা-উদ-দৌলার ভূমিকায়।
অভিনয় ছেড়ে বিজ্ঞাপনের ছবি বানান কুণাল। তাঁর এজেন্সি টেলিভিশনের জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করে। ‘সিটি অব জয়’-সহ বেশ কিছু ছবির ক্রেডিট সিকোয়েন্সও তৈরি করেছে কুণালের এজেন্সি।
বেশ কিছু নামী ব্র্যান্ডের হয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে কুণালের সংস্থা।
রমেশ সিপ্পির মেয়ে, বিখ্যাত আলোকচিত্রী শীনাকে বিয়ে করেন কুণাল। তাঁদের ছেলের নাম জাহান পৃথ্বীরাজ কপূর এবং মেয়ের নাম সায়রা কপূর।
কুণাল-শীনার দীর্ঘ দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০০৪-এ। বিবাহবিচ্ছেদে কারণ নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেন না। তবে দু’জনের কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। ব্যস্ত নিজেদের কাজের জগৎ নিয়েই।