এই সিরিজ়ে ন্যুড দৃশ্য থেকে নওয়াজ়উদ্দিনের সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে তাঁকে। ছবি: সংগৃহীত।
অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ‘সেক্রেড গেমস’-এ কুকুর চরিত্রে অভিনয় করেই রাতরাতি পরিচিত পান অভিনেত্রী কুবরা সেট। রূপান্তরকামী এক বারড্যান্সার, যাঁর প্রেমে পড়ে যান গণেশ গায়তোন্ডে অর্থাৎ নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি। কিন্তু গণেশ জানতেন না যে, তাঁর প্রেমিকা একজন রূপান্তরকামী। এই সিরিজ়ে ন্যুড দৃশ্য থেকে নওয়াজ়উদ্দিনের সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে তাঁকে। তবে সেটা যে খুব সহজ ছিল না, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান কুবরা। সিরিজ়ে একাধিক বার সঙ্গমের দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে কুবরা ও নওয়াজ়কে। অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ের পর মাটিতে শুয়ে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। দৃশ্যটি করতে প্রায় সাত বারের উপর টেক দিতে হয় তাঁকে।
এই দৃশ্যেই গণেশ অর্থাৎ নওয়াজ় জানতে পারেন যে, তাঁর প্রেমিকা আদতে একজন রূপান্তরকামী। আর সে কথা প্রেমিককে জানাতে গিয়ে সত্যি সত্যিই কেঁদে ফেলেছিলেন কুবরা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘টেক হয়ে যাওয়ার পর তো ফ্লোরে বসে কাঁদতাম। অনুরাগ স্যর এসে আমায় জড়িয়ে ধরতেন আর বার বার থ্যাঙ্ক ইউ বলতেন।’’
তবে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে নওয়াজ়ের সঙ্গে অভিনয় করতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি তাঁকে। কারণ নওয়াজ় নাকি ভারী লাজুক। ফ্লোরে জাওয়ার আগে অভিনয়ের পরিবেশ তৈরি করতে নওয়াজ়ের গালে চুমু দিতেন বলেই জানান কুবরা। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁর মতো লাজুক মানুষ আমি কমই দেখেছি। এক প্রকার ওঁকে ধরেবেঁধে ওই দৃশ্যে শ্যুট করাতে হয়েছিল। আমি ওঁর গালে চুমু খেয়ে বলতাম, চলো আমরা সেক্স করি।’’ আটের দশকে এক রূপান্তরকামীর আঙুলের ইশারায় নাচত গোটা মুম্বই, সেটা ফুটিয়ে তোলাই ছিল কুবরার কাছে আসল চ্যালেঞ্জ। যদিও পরবর্তী কাজে টাইপকাস্ট হওয়ার ভয় ছিল, তবে ধীরে ধীরে হলেও মুম্বইতে নিজস্ব জায়গা করেছেন কুবরা।