মনোজের আইনজীবীর দাবি, বিচারের এই পর্বে এসে টুইটার হ্যান্ডল বিক্রির অজুহাত গ্রাহ্য হতে পারে না। ফাইল চিত্র
অভিনেতা কমল রশিদ খান ওরফে কেআরকের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ উচ্চ আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। বহু চেষ্টা করেও সেই মামলার নিষ্পত্তি করতে পারলেন না কমল।
দু’তরফের জবানবন্দির পর বলিপাড়ার স্বঘোষিত সমালোচকের আবেদন খারিজ করে দেন ইন্দোর জেলা আদালতের বিচারক সত্যেন্দ্র কুমার সিংহ।
তাঁর দাবি, টুইটে মনোজের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন কমল। তার উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে। অভিযোগ সঙ্গত বলেই মনে করছে আদালত।
চলতি বছর জুলাই মাসে কমলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন অভিনেতা মনোজ। অভিযোগ, ২৬ জুলাই তাঁকে দু’টি টুইটে হেনস্থা করেছিলেন কমল। যদিও কমলের পক্ষের আইনজীবী জানান, যে টুইটার হ্যান্ডল থেকে সেই টুইটগুলি করা হয়েছিল সেটি ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এর পর তার দায় কেন নেবেন কমল?
মনোজের আইনজীবীর দাবি, বিচারের এই পর্বে এসে টুইটার হ্যান্ডল বিক্রির অজুহাত গ্রাহ্য হতে পারে না। বয়ান আগেই লিপিবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। অতএব, আদালতের নির্দেশে আগামী ১৭ জানুয়ারি হাজিরা দিতে আসতে হবে কমলকে।
শুধু মনোজ নন, ২০২০ সালে ঋষি কপূর এবং ইরফান খান সম্পর্কে অবমাননাকর টুইটের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। তারই সূত্রে এ বছর মুম্বই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সংস্থাকে পুলিশের এক আধিকারিক জানান, প্রয়াত দুই অভিনেতার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে ২৯৪ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্যান্য ধারায় কমলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
টুইটারে একাধিক বার বলিউড অভিনেতাদের আক্রমণ করেছেন তিনি। সলমন খান, শাহরুখ খান থেকে অনুষ্কা শর্মা— বাদ যাননি কেউ-ই।
সম্প্রতি নতুন ছবি ‘বান্দা’র কথা ঘোষণা করেছেন মনোজ। কাজের ব্যস্ততার ফাঁকেও কমলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় অবিচল তিনি।