দারুণ বন্ধুত্ব ছিল সুশান্ত-কৃতীর
ওয়াইনের গ্লাস হাতে বসেছিলেন দু’জনে। কিছু দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তাঁদের ছবি ‘রাবটা’। এবং মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে। দর্শকদের অপছন্দ, সমালোচকদের কটাক্ষ, ছবি ব্যর্থ হওয়ার মন খারাপ সবটাই একে সঙ্গে মন খুলে ভাগ করে নিয়েছিলেন কৃতী শ্যানন এবং সুশান্ত সিংহ রাজপুত। হাল্কা হয়েছিলেন দু’জনেই। জমে গিয়েছিল প্রাণখোলা আড্ডা। বরাবরের মতোই। যে স্মৃতিগুলো আজও ফিরে ফিরে আসে কৃতীর মনে।
কাছাকাছি বয়স। একই সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল সুশান্ত-কৃতীর। যখন-তখন আড্ডা, একে অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া সুখ-দুঃখ, ছবির সাফল্য থেকে ব্যর্থতা নিয়ে অকপট আলোচনা— সবটাই চলত নিয়মিত। আর সে দিনগুলোই এখন বড্ড মনে পড়ে কৃতীর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে কথাই বললেন ‘মিমি’র অভিনেত্রী।
কৃতীর কথায়, “রাবটা-র ব্যর্থতা, সমালোচকদের কড়া কড়া মন্তব্যে বড্ড মন খারাপ ছিল আমাদের। সুশান্ত আর আমি সেই রাগ-দুঃখ-অভিমানের ঝাঁপি খুলে বসেছিলাম। সঙ্গে দীনেশ (পরিচালক দীনেশ বিজন)। কেন ছবিটা দর্শকদের অত খারাপ লাগল, তা নিয়ে কাটাছেঁড়াও হচ্ছিল অনেক। সব ক্ষোভ-অবসাদ মন খুলে বলতে পেরে হাল্কাও লাগছিল। ওয়াইন হাতে তার পরে জমে গিয়েছিল আড্ডা-হাসি-মজা। সেই সন্ধেটা বড্ড ভাল কেটেছিল আমাদের।”
সেই সন্ধেগুলোই এখন হারিয়ে গিয়েছে কৃতীর জীবন থেকে। মনের দোসর সুশান্তের আচমকা মৃত্যু ভেঙেচুরে দিয়েছিল কৃতীকে। সুশান্তের চলে যাওয়ার পরে বলিউডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শিখেছেন একটু একটু করে। শুধু বন্ধুর ফেলে যাওয়া সেই শূন্যস্থান ভরাট হয়নি আজও।