(বাঁ দিকে) জিতেন্দ্র কুমার, শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত।
জিতেন্দ্র কুমার ওরফে জিতু ভাইয়া— ওটিটির পর্দার জনপ্রিয় নায়ক। খড়গপুর আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেন জিতেন্দ্র। একটানা কাজ করে গিয়েছেন এক সময়। তবে ‘কোটা ফ্যাক্টরি’ ওয়েব সিরিজ়ের মাধ্যমে রাতারাতি জনপ্রিয়তা আসে অভিনেতা জিতুর জীবনে। এই ওয়েব সিরিজ়ে বাস্তবের জিতেন্দ্র কুমারই হয়ে উঠেন পর্দার জিতু ভাইয়া। তার পর মুক্তি পায় ‘পঞ্চায়েত’। সেখানেও তাঁর অভিনয় মন ছুঁয়েছে দর্শকের। সম্প্রতি এই দুই সিরিজ়েরই তৃতীয় সিজ়ন মুক্তি পেয়েছে। দু’টিতেই রয়েছেন জিতেন্দ্র। মুম্বইতে কোনও ‘গডফাদার’ ছিল না তাঁর। তবু শাহরুখ খানের বাড়ি মন্নতে নাকি যখন খুশি তখন যেতে পারেন। কী ভাবে গড়ে উঠল এই সখ্য?
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পড়তেই অভিনয়ের দিকে ঝুঁকেছিলেন জিতু। টিভিএফ-এ যোগ দিয়ে ওটিটি-তে একের পর এক ছোট ছোট সিরিজে কাজ পান। ‘পার্মানেন্ট রুমমেটস’ কিংবা ‘টিভিএফ পিচার্স’-এ তাঁর অভিনয় চোখ টেনেছিল ওটিটি দর্শকের। তার পর ‘শুভ মঙ্গল জ়াদা সাবধান’, ‘গন কেশ’, ‘চমন বাহার’-এর মতো কয়েকটি ছবিতেও দেখা যায় জিতেন্দ্রকে। তবু পরিচিতি বাড়েনি তেমন। সেই সময় টিভিএফ-এর হয়ে শাহরুখ খানের বাড়িতে তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে যান জিতু। বাদশার মনে ধরে যায় জিতুর সঙ্গে আড্ডা। শাহরুখ জিতুকে বলেন, “তাঁর যখন ইচ্ছে মন্নতে আসতে পারেন। নিজের ছবি মন্নতের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীকে দেখালেই হবে।” যদিও তার পরে অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এখন জিতু ওটিটির তারকা। তবে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “জানি না ওঁর এখনও মনে আছে কিনা। তখন উনি কথার কথা বলেছিলেন হয়তো। কিন্তু এখন যদি মন্নতে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেন তাহলে ভালই হয়।”