নয়ের দশকে তাঁর গানই মাতিয়ে রাখত দর্শকদের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বলিউডে গানে অভিষেক হয়েছিল অলকা যাজ্ঞিকের। দু’হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি। অন্তত ১৬টি ভাষায় গান গেয়েছেন।
এক সময় লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলের পর তাঁর নামই উচ্চারিত হত সুরের দুনিয়ায়। অলকার সঙ্গে এ আর রহমানের সম্পর্কের শুরুর গল্প জানেন?
গান গাওয়ার পাশাপাশি গান লেখেন এবং সুরও দেন এ আর রহমান। এ আর রহমানের লেখা একটি সুপারহিট গান গাওয়ার জন্য প্রস্তাব পেয়েছিলন অলকা। কিন্তু জানেন কি অলকা সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন?
ওই গানটিই পরে সুপারহিট হয়েছিল। আর আজও সেই দিনের কথা ভেবে আফসোস করেন অলকা।
কলকাতার এক গুজরাতি পরিবারে ১৯৬৬ সালে জন্ম অলকার। মা শুভা এক জন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। ছোট থেকে মায়ের গান শুনেই বড় হয়েছেন তিনি। মা-ই তাঁর গানের অনুপ্রেরণা।
মাত্র ৬ বছর বয়সে আকাশবাণী কলকাতায় গান শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর কেরিয়ার আজ যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তার পুরো কৃতিত্বই মা-কে দেন তিনি।
মায়ের হাত ধরে মুম্বই পৌঁছেছিলেন। ১৯৮০ সালে প্রথম প্লেব্যাক করেন ‘পায়েল কি ঝঙ্কার’ ছবিতে। এর পর আর পিছনে ফিরতে হয়নি তাঁকে।
গুছিয়ে এবং সুপরিকল্পিত ভাবে অলকা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন নিজের গানের জগতকে।
সেটা ১৯৯২। তখনও এ আর রহমান তেমন নাম করে উঠতে পারেননি। মূলত বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জন্য সুর বাঁধতেন তিনি।
তখনই মনি রত্নম তামিল ছবি ‘রোজা’ বানাচ্ছিলেন। এই ছবিতেই সুরকার হিসাবে অভিষেক হয়েছিল এ আর রহমানের।
অলকার কাছে এ ছবির গান গাওয়ার প্রস্তাব আসে। অলকা তখন মুম্বইয়ে। এ আর রহমানের নামই শোনেননি কখনও। এ রকম একজন আনকোড়া সুরকারের হয়ে গান গাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ছিল না তাঁর।
কুমার শানুও একই প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তিনিও দ্বিধায় ছিলেন প্রস্তাব নিয়ে। এমন অবস্থায় অলকা ফোন করে কুমার শানুর সঙ্গে আলোচনা করেন। দু’জনেই মনি রত্নমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
‘রোজা’ ছবির গান আজও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে। এমন একজন সুরকারকে আনকোড়া ভেবে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার আফসোসও আজও ভুলতে পারেননি অলকা।