হলিউডে গিয়ে আধিপত্য বিস্তার করেছেন ইতিমধ্যেই। লাইমলাইট নিজের দিকে সব সময় টেনে রাখতে ওস্তাদ তিনি। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া যে অনুষ্ঠানেই যান না কেন, ক্যামেরার ফোকাস নিমেষেই নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেন। তাই বার বার চর্চার বিষয়ও হয়ে ওঠেন।
তবে বিদেশের মাটিতে থাকাকালীন সবচেয়ে যে বিষয় নিয়ে চর্চা হয়েছে তা হল প্রিয়ঙ্কার পোশাক এবং মেকআপ। গ্র্যামি হোক কিংবা মেটগালা বা কোনও প্রোমোশনাল শ্যুট, প্রিয়ঙ্কার ‘অদ্ভুতদর্শন’ পোশাক সব সময়ই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। তবে রূপ দেখে যে দর বোঝা যায় না এ ক্ষেত্রে সেই কথাটি পুরোপুরি খাঁটি। প্রিয়ঙ্কা নিজেকে এমন ‘অদ্ভুত’ সাজিয়ে তুলতে কত টাকা খরচ করেছেন জানেন?
নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট-এর বার্ষিকী অনুষ্ঠান, দ্য কস্টিউম ইনস্টিটিউট গালা। সাধারণ মানুষ যাকে ‘মেট গালা’ বলেন। ১৯৪৮ সালে পাবলিসিস্ট এলেনর ল্যামবার্ট প্রথম এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। উদ্দেশ্য ছিল, অর্থ সাহায্যের জন্য নিউ ইয়র্কের অভিজাত পরিবারগুলিকে উৎসাহ দেওয়া। সময়ের সঙ্গে মেট গালার রূপ-রং বদলেছে।
২০১৯ সালের মেটগালাতে প্রিয়ঙ্কার ‘ক্যাম্প লেডি’র বেশ নিয়ে তুমুল ঝড় উঠেছিল নেটমাধ্যমে। ‘ক্যাম্প’-এর মূল ভাবনা স্বাভাবিকতার বাইরে গিয়ে সাজ। যে সাজের মধ্যে নাটকীয়তা থাকবে, ওভার দ্য-টপ একটা ব্যাপার থাকবে। যে ভাবনাকে তাঁর পোশাক ও স্টাইল স্টেটমেন্টে সসম্মানে ফুটিয়ে তুলেছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
কিন্তু নেটাগরিকরা সে সব গুরুগম্ভীর ভাবনার বাইরে গিয়ে স্রেফ মজা নিয়েছেন অদ্ভুতদর্শন প্রিয়ঙ্কার। মেটগালায় রুপোলি ওই পোশাকটির জন্য প্রিয়ঙ্কাকে খরচ করতে হয়েছিল ৪৫ লাখ টাকা।
২০১৮ সালের মেটগালাতে প্রিয়ঙ্কা পোশাকের জন্য যথেষ্ট চর্চায় ছিলেন। ওই বছর মেরুন রঙের গাউনের সঙ্গে মাথায় সোনালী রঙের টুপি লাগানো ছিল। মেরুন ভেলভেট ওই গাউন বানাতে সময় লেগেছিল ২৫০ ঘণ্টা। এবং খরচ হয়েছিল ২২ লাখ টাকার মতো।
প্রিয়ঙ্কার এই পোশাকের এই দামের কারণ ছিল টুপির মতো তার উপরের অংশ। সোনালী রঙের এই অংশটি সোনা এবং মূল্যবান পাথর দিয়ে হাতে বোনা হয়েছিল। যে কারণে পোশাকের এত দাম।
২০২০-র গ্র্যামির মঞ্চেও প্রিয়ঙ্কার পোশাক নিয়ে চর্চা হয়েছে বিস্তর। তাঁর সেই ডিপ ভি-নেক লংগাউন স্বস্থানে কী ভাবে ছিল তা নিয়ে আলোচনাতেই মেতে উঠেছিলেন নেটাগরিকরা।
গ্র্যামির জন্য প্রিয়ঙ্কার বিশেষ ডিপ ভি-নেক লংগাউন তৈরি করেছিলেন তামারা র্যাল্ফ ও মাইকেল রুশো। পোশাক তৈরির সময় এই বিষয়টি তাঁরা মাথায় রেখেছিলেন।
তাই প্রিয়ঙ্কার ত্বকের রঙের সঙ্গে সাজুয্য রাখা ‘তুল’ দিয়ে বেঁধে রাখা ছিল সেই পোশাক। নেটের মতো থাকায় যা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। ‘তুল’ হল এক ধরনের জরির মতো সূক্ষ পাতলা কাপড়। এই সূক্ষ পোশাকের জন্য ৭৭ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন নায়িকা।
এক অনুষ্ঠানে গায়ে এই গোলাপি রঙের রোমশ জ্যাকেট পরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। পিটার দুন্দাস ফক্সের এই জ্যাকেট তিনি কিনেছিলেন প্রায় ১৩ লাখ টাকায়।
এই পোশাক দেখে আঁতকে উঠবেন না যেন! বা একে বেলুন বলে ভুল করবেন না! নামজাদা ডিজাইনার দিয়ে অনেক গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয়েছে এমন পোশাক পেতে। হালপের পলকা নকশা আঁকা এই বেলুনাকৃতির পোশাক প্রিয়ঙ্কা একটি প্রোমোশনাল শ্যুট-এ পরেছিলেন।
তাঁর পোশাক নিয়ে নানা রকমের মিমে ভরে যায় নেটমাধ্যম। কেউ প্রিয়ঙ্কাকে গ্যাস বেলুন বানিয়ে দেন তো কেউ গাড়ির হর্ন। তবে প্রিয়ঙ্কার এই বেলুনাকৃতি পোশাকের দাম জানা যায়নি।