কপূর পরিবারে বৌ এবং মেয়েদের অভিনয় জগতে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু মা ববিতার হাত ধরে সেই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন করিশ্মা।
অভিনয় দিয়ে তিনি নিজেকে প্রমাণও করেন। এই তারকা-কন্যা চূড়ান্ত সফল হন পেশাগত জীবনে। সাফল্যের একেবারে শীর্ষে থাকার সময়ই তিনি ব্যবসায়ী সঞ্জয় কপূরকে ২০০৩ সালে বিয়ে করেন।
তার পর সংসার নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে নেন। পরে নতুন করে অভিনয় জগতে ফিরতে চাইলেও দর্শক তাঁকে আর আগের মতো পছন্দ করেননি।
ফলত কোনও ছবিই তাঁর হাতে এখন নেই। অন্য দিকে ২০১৬ সালে স্বামী সঞ্জয় কপূরের সঙ্গেও তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পর থেকে ২ সন্তানকে একাই বড় করে তুলছেন করিশ্মা।
তারকাদের মানানসই পোশাক, খাবার, ছেলে মেয়েদের স্কুল এবং টিউশন খরচ-- কোনও কিছুর সঙ্গেই আপস করতে হয়নি তাঁকে। আগের মতোই বিলাসিতাকে সঙ্গী করে জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।
বিলাসবহুল জীবন কাটানোর জন্য বড় অঙ্কের উপার্জনের প্রয়োজন। অথচ খরচ বহন করার জন্য কোনও ছবিই তাঁর হাতে নেই। তাহলে কী ভাবে এই বিশাল খরচের ভার করিশ্মা বহন করছেন?
এমনিতেই কপূর পরিবারের বৈভব নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। মা ববিতা এবং বাবা রণধীর কপূরের যথেষ্ট সম্পত্তি রয়েছে। যা করিশ্মা এবং করিনা, ২ বোনের মধ্যেই ভাগ হবে পরবর্তীকালে।
তার উপর ২০১৬ সালে স্বামী সঞ্জয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর খোরপোষের মামলা করেছিলেন করিশ্মা। ২ ছেলেমেয়ের জন্য সঞ্জয়কে আলাদা করে ১৪ কোটি টাকা দিতে হয়েছিল।
এ ছাড়া করিশ্মার থাকা-খাওয়ার খরচ হিসাবে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা করে সঞ্জয়কে দিতে হয়।
নিজের জীবনচর্যা এবং ছেলেমেয়ের স্কুল-টিউশনের খরচ এই টাকা থেকে অনায়াসেই উঠে আসে করিশ্মার। ফলে এ নিয়ে ভাবতে হয় না তাঁকে।
এ ছাড়া করিশ্মা নিজেকে সব সময় কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখেন। করিশ্মা অভিনয় জগতে সক্রিয় না থাকলেও বোন করিনার থেকেও তাঁর ব্যস্ততা অনেক বেশি। একটি শো-য়ে করিনা নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন।
করিশ্মা আসলে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। সেই সমস্ত সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারের মুখ করিশ্মাই। সেখান থেকেও বড় অঙ্কের টাকা প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে চলে আসে তাঁর।
এ ছাড়া জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিভিন্ন ডিজাইনারের হয়ে র্যাম্প ওয়াক করেন তিনি। এই কাজেও বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক নেন।
করিশ্মার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, এ সব করে প্রতি বছর অন্তত ৭২ কোটি টাকা উপার্জন করেন তিনি।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই মুম্বইয়ে থাকেন করিশ্মা। বোন করিনার পটৌডি বাড়ির কাছেই একটি বাড়িতে ২ সন্তানকে নিয়ে থাকেন তিনি।