‘বগলা মামা যুগ যুগ জিও’ ছবির একটি দৃশ্যে খরাজ মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ছবির ঘোষণা পর্ব থেকেই অনুরাগীদের উৎসাহ ছিল লক্ষ্যণীয়। প্রশ্ন ছিল, লেখক রাজকুমার মৈত্র সৃষ্ট এই চরিত্রে কে অভিনয় করবেন? তার পর প্রকাশ্যে আসে খরাজ মুখোপাধ্যায়ের নাম। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এল ‘বগলা মামা যুগ যুগ জিও’ ছবিতে খরাজের ফার্স্ট লুক। তার পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন অভিনেতা। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এই চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন খরাজ।
শুরুতেই খরাজ এই প্রজন্মের সঙ্গে বগলা মামা চরিত্রটির পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলেন। অভিনেতা বললেন, ‘‘অতীত সাহিত্যের অংশ বগলা মামা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সে যেন পাঠকদের কাছে হারিয়ে গিয়েছিল। মজাদার চরিত্রটাকে আরও এক বার বাঙালির সামনে হাজির করার জন্য ধ্রুবকে (মুখোপাধ্যায়, পরিচালক) ধন্যবাদ দিতে চাই।’’ তবে এই চরিত্রে যে তাঁকে ভাবা হতে পারে, তা নিয়ে শুরু থেকে কোনও রকম ধারণা ছিল না খরাজের। অভিনেতা বলছিলেন, ‘‘আমাকে তো সেই ভাবে কেউ ডাকেনি। ছবি প্রচুর করেছি। কিন্তু সেখানে প্রযোজক যে নামভূমিকায় আমাকে ভেবেছেন, সেটা আমার কাছে ছিল বড় চমক!’’ খরাজ জানালেন, প্রচুর আলোচনার পর নির্মাতাদের তরফে দাবি ছিল এই ছবিতে তাঁকে জান লড়িয়ে দিতে হবে। খরাজ বললেন, ‘‘এই বয়সে লড়াই যখন প্রায় ছেড়ে দেওয়ার উপক্রম, তখন এ রকম প্রস্তাব পেয়ে সত্যিই ভাল লেগেছিল। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।’’
ছবিতে ঋদ্ধি সেন, দিতিপ্রিয়া রায়-সহ এই প্রজন্মের এক ঝাঁক তারকা রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে অভিনয় করে উচ্ছ্বসিত খরাজ বললেন, ‘‘ছোটরা তো বটেই, পাশাপাশি বলতে হয় কৌশিক (সেন), রনি (রজতাভ দত্ত) এবং অপার (অপরাজিতা আঢ্য) কথা। প্রত্যেকেই নিজেকে নিঙড়ে দিয়েছেন। দর্শক এই ছবিতে পুরনো বাংলা ছবির স্বাদ পাবেন।’’
ছবির টিজ়ার দেখে অনুরাগীদের একাংশ সমাজমাধ্যমে অতীতের ‘চার মূর্তি’ বা ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’-এর মতো ছবিগুলির সঙ্গে এই ছবির তুলনা করছেন। তবে খরাজ এই তুলনায় যেতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘বগলা এমন একটা মানুষ যে এই মুহূর্তে সকলের সঙ্গে হইহই করছে তো পর ক্ষণেই একটা ললিপপ মুখে নিয়ে হাউহাউ করে কাঁদছে! এতটাই ছেলেমানুষ। হাসির সঙ্গে আবেগও মিশে রয়েছে এই গল্পে।’’
টলিপাড়ায় খবর, বগলা মামাকে নিয়ে ভবিষ্যতে সিকুয়েলের পরিকল্পনাও রয়েছে পরিচালকের। খরাজ বললেন, ‘‘আমিও তাই শুনেছি। তবে আগে এই ছবিটা দর্শক পছন্দ করুক সেটাই চাই।’’ ছবিটির মুক্তির দিন এখনও স্থির হয়নি।