একুশ শতকে প্র্যাঙ্কস্টার বা প্র্যাঙ্কারদের রমরমা। যে যত বেশি ভয় দেখাতে পারে, তার তত জনপ্রিয়তা। সেই সব ভয়-দেখিয়েদের নাকি কাত করে দিয়েছেন কৌশিক। যখনই হাতে তুলেছেন বন্দুক, তাঁকে আরও ভয়াল করে তুলেছে চারপাশে জমে থাকা চাপ চাপ অন্ধকার। সৌজন্যে বৈদ্যুতিক বিভ্রাট।
সিরিজের পোস্টারে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।
গা ছমছমে ভয়ের জন্ম দিয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। পরিচালনা সরিয়ে অনেক দিন পরে তিনি অভিনেতা। তা-ও আবার ওয়েব সিরিজে। সেখানে পা রেখেই চমকে দিতে চলেছেন এই প্রজন্মকে। একুশ শতকে প্র্যাঙ্কস্টার বা প্র্যাঙ্কারদের রমরমা। যে যত বেশি ভয় দেখাতে পারে, তার তত জনপ্রিয়তা। জাতীয় স্তরের সেই সব ভয়-দেখিয়েদের নাকি কাত করে দিয়েছেন কৌশিক। যখনই তিনি হাতে তুলে নিয়েছেন বন্দুক, তাঁকে আরও ভয়াল করে তুলেছে চারপাশে জমে থাকা চাপ চাপ অন্ধকার। সৌজন্যে বৈদ্যুতিক বিভ্রাট।
ভাঙাচোরা পুরনো বাড়িতে তিনি আর তাঁর ঝিমঝিমে কণ্ঠস্বর। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি, এক মুখ চাপদাড়ি। আপাদমস্তক নিপাট ভদ্রলোক, ভালমানুষ। সেই মানুষই যখন এক বার ভয় দেখাতে শুরু করেন, শিরদাঁড়া দিয়ে হিম স্রোত বইতে থাকে সামনে থাকা মানুষদের। চলতি মাসে ক্লিক ওয়েব প্ল্যাটফর্মে সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায় (সোমু)-এর সিরিজ ‘প্র্যাঙ্কেস্টাইন’-এ এ ভাবেই সবাইকে ভয় দেখাবেন অভিনেতা কৌশিক। প্রযোজনায় মিল্কি ওয়ে।
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পরিচালকের দাবি, ‘‘সাদামাঠা চেহারার কৌশিকদার হাতে পিস্তল। হাড়হিম অভিব্যক্তি ঘাবড়ে দেবে দর্শকদের। তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের কাছে বোধহয় মাথা নোয়াতে বাধ্য হবেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও।’’
কৌশিককে ঘিরে থাকছে এই প্রজন্ম। দেখা যাবে ঈপ্সিতা কুণ্ডু, রেমো-সহ এক ঝাঁক তরুণ অভিনেতাকে।’ পরিচালনার পাশাপাশি সিরিজের কাহিনি-চিত্রনাট্য-সংলাপও পরিচালকের। তাঁকে সহায়তা করেছেন শ্রেষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়। প্রথম দিন থেকেই নাকি চরিত্রে বুঁদ হয়ে গিয়েছেন কৌশিক! কখনও ম্যাগি খাওয়ার দৃশ্য, তো কখনও মাটিতে টান টান হয়ে শুয়ে পড়ছেন! কখনও জ্বলন্ত দেশলাই ধরে হাড়হিম সংলাপ বলছেন ঈপ্সিতার সামনে। কখনও বা দৃশ্যগ্রহণের আগে সহ-অভিনেতার সঙ্গে আলোচনা সেরে নিয়েছেন।
কেন নতুন পরিচালকের পরিচালনায় কাজ করতে রাজি হলেন কৌশিক? আনন্দবাজার অনলাইননের কাছে তাঁর দাবি, ‘‘পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয় পেশা জীবনে এক ঝলক টাটকা বাতাস। তার উপরে একেবারে ভিন্ন ধরনের চরিত্র। ফলে, না বলতে পারিনি।’’