২০১৯ সালের এপ্রিল। পশ্চিমবঙ্গে তখন লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ। হঠাৎই রায়গঞ্জে তৃণমূলের প্রচারে দেখা যায় অঙ্কুশ হাজরা-পায়েল সরকারদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের নায়ক ফিরদৌস আহমেদকে। একজন বিদেশি কেন ভারতের নির্বাচনী প্রচারে? ফিরদৌসের বিরুদ্ধে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে অভিযোগ তোলে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজনেস ভিসা নিয়ে ভারতে এসে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তখনই। ফিরদৌসকে দেশে ফিরে যাওয়ার আদেশ দেয়। এর পর ভারতে ভিসা পাওয়ার বিষয়ে তাঁর নামে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ফিরদৌস লিখিত ভাবে ভুল স্বীকার করলেও নিষেধাজ্ঞা ওঠেনি।
দুই বাংলা সাংস্কৃতিক ভাবে কাছাকাছি। আবেগের সম্পর্কও অটুট। কিন্তু ফিরদৌসের ভারতে ঢোকা নিষিদ্ধ হয়। এই কারণে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করতে পারেননি ফিরদৌস। কারণ ছবিটির কাজ হয়েছে মুম্বইয়ে।
অবশেষে ২২ ফেব্রুয়ারি ভারতে আসছেন ফিরদৌস। ২৩ ফেব্রুয়ারি আগরতলার একটি চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেবেন তিনি। দিন চারেক থাকবেন ভারতে। তবে কলকাতায় আসছেন কি না জানা যায়নি।
গত আড়াই বছর ভারতের মাটিতে পা রাখতে পারেননি ফিরদৌস। ২০২১-এর নভেম্বরে অবশেষে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয় ভারত। নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর দৃশ্যত খুশি ফিরদৌস বলেন, “ভারত আমার আরেকটা বাড়ির মতো। নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর এই প্রথম সেখানে যাচ্ছি। কী যে ভালো লাগছে বলে বোঝাতে পারব না।”