ক্যাটরিনা কইফ ও ভিকি কৌশল। সংগৃহীত।
পর্দার বাইরেও প্রতিটা মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি হন বলি অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। ব্যক্তিগত মুহূর্ত প্রকাশ্যে আনতে চান না অধিকাংশ শিল্পী। কিন্তু মুম্বইয়ের ছবিশিকারিদের হাত থেকে রেহাই পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়! অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কার সঙ্গে কোথায় যাচ্ছেন, সব তথ্য আর ছবি তাঁদের হাতের মুঠোয়। তাই তাঁদের সঙ্গে চুক্তির পথ বেছে নিয়েছেন ক্যাটরিনা কইফ, অনন্যা পাণ্ডের মতো অভিনেত্রীরা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমন অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন ছবিশিকারিরা।
ক্যাটরিনা কইফ ও ভিকি কৌশল তখন সদ্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাঁদের ছবি তোলা হচ্ছে দেখে নিষেধ করেন ক্যাটরিনা। তত ক্ষণে জুটির কয়েকটি ছবি তোলা হয়ে গিয়েছে। ক্যাটরিনা সেই ছবিগুলি মুছে ফেলার অনুরোধ জানান এবং সেই ছবিশিকারিকে আশ্বস্ত করেন, নিজের এক্সক্লুসিভ ছবি তুলতে দেবেন তাঁকে। অভিনেত্রীর ম্যানেজার সেই ছবিশিকারির নম্বর নিয়ে রাখেন। প্রায় এক সপ্তাহ পরে যশরাজ স্টুডিয়োর বাইরে সেই ছবিশিকারির ডাক পড়ে। কথা মতো ক্যাটরিনার ফোটোশুট করেন তিনি।
অন্য এক ছবিশিকারির কথায়, “গোয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম। অফিস থেকে ফোনে নির্দেশ এল সোজা বিমানবন্দরে চলে যেতে হবে।” বলিউডের আলোচিত জুটি অনন্যা পাণ্ডে-আদিত্য রয় কপূর গোয়া বিমান বন্দরে একসঙ্গে ঢুকবেন, গন্তব্য মুম্বই। তবে গোয়া বিমানবন্দরে একসঙ্গে ঢুকলেও মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছে আলাদা হয়ে যাবেন যুগল। উদ্দেশ্য একটাই, প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনবেন না তাঁরা। জুটিকে যখন ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছিল, তাঁদের ছবি ও ভিডিয়ো মুছে ফেলার অনুরোধ জানান অনন্যা।
এ সব ক্ষেত্রে কেউ হাসিমুখে ছবি তোলেন, কেউ আবার মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। তবে অধিকাংশ শিল্পীর সঙ্গে ছবিশিকারিদের বোঝাপড়া রয়েছে।