ভাগ্যের চাকা একটু ঘোরে চার-পাঁচটি ছবি করে ফেলার পর। কার্তিক জানান, ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তৃতীয় বার হাতবদল হওয়া একটি গাড়ি কেনেন শেষমেশ। ফাইল চিত্র
তারকা বলে অহেতুক ফলাও করেন না। জুহুর রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ডিকির উপর চাইনিজ় খাবার রেখে খান। সাধারণের ভিড়ে এখনও দিব্যি মিশে যান কার্তিক আরিয়ান।
বলিউডে এসে যশ-খ্যাতির কার্পেটে না ভেসে নায়ক বার বার ফিরে যান নিজের অতীতে। মনে পড়ে যায়, মধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসা আগের যুবককে, কত কষ্ট করে কিস্তিতে শোধ দিয়ে মায়ের জন্য একটি গাড়ি কিনেছিলেন। নিজেও যাতায়াত করতেন বিমানের সাধারণ আসনে।
চলতি বছর ‘ভুলভুলাইয়া ২’-এর বিপুল সাফল্যের পর লোকে তাঁকে নিয়ে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েন। হাতে একগুচ্ছ ছবি। দফায় দফায় প্রচার অনুষ্ঠানে যেতে হয় নায়ককে। তেমনই এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি কার্তিক বললেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে তখন শুরুর দিক। আমার না আছে গাড়ি, না আছে টাকা। পুরস্কার অনুষ্ঠান বা পার্টিতে উড়ে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল না। হাত দেখিয়ে গাড়ি থামিয়ে লিফ্ট চাইতাম, যদি কেউ পৌঁছে দেন। কিংবা অটোরিকশা চেপেও গিয়েছি।’’
তবে ভাগ্যের চাকা একটু ঘোরে চার-পাঁচটি ছবি করে ফেলার পর। কার্তিক জানান, ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তৃতীয় বার হাতবদল হওয়া একটি গাড়ি কেনেন শেষমেশ। তবে দুর্ভোগ সইতে হয়েছে যথেষ্ট। কার্তিকের কথায়, ‘‘গাড়ির দরজা এক বার বন্ধ হলে খুলত না সহজে। কিন্তু এই কারণে গাড়িটা কিনেছিলাম, যাতে রেড কার্পেটে যাওয়ার সময় অটো ধরতে না হয়’’।
কার্তিকের জীবনে অবশ্য এখন সুসময় এসেছে। সে তাঁর কর্মনিষ্ঠা এবং সততার কারণেই। হঠাৎ টাকা উপার্জন করে আবার শূন্য হয়ে যাননি।
‘ভুলাইয়া ২’-এর সাফল্যের পর প্রযোজক ভূষণ কুমার কার্তিককে একটি গাড়ি উপহার দেন। ভারতের প্রথম ম্যাকল্যারেন জিটি ছিল সেটি, দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা।
গত বছর এপ্রিলে অবশ্য নিজেই একটি কালো ল্যাম্নরঘিনি কিনেছেন। তার ডিকির উপরই খেতে দেখা গিয়েছে নায়ককে। যে ছবি দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন অনুরাগীরা। তবে কার্তিককে সবাই আপন করে নিয়েছেন এ ভাবেই।কার্তিক অভিনীত ‘ফ্রেডি’ মুক্তি পেয়েছে ৬ ডিসেম্বর। ‘ক্যাপ্টেন ইন্ডিয়া’ ছাড়াও বর্তমানে সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার একটি ছবিতে কাজ করছেন অভিনেতা।