(বাঁ দিকে) করিশ্মা কপূর। করিনা কপূর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
লোলো আর বেবো। কপূর পরিবারের এই দুই বোনের ভালবাসার কথা শোনা যায় বলিউডের আনাচেকানাচে। তাঁরা হলেন করিশ্মা কপূর ও করিনা কপূর। পরস্পরকে চোখে হারান তাঁরা। স্বামী সঞ্জয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া চলার সময় বোন করিনাকে করিশ্মার পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে সব সময়। সময়ে-অসময়ে কখনও দিদির পাশ থেকে সরতে দেখা যায়নি বোনকে। তবে একটা সময় ছিল, যখন প্রায় সারা রাত কাঁদতেন করিশ্মা, আড়াল থেকে শুধু দেখে যেতে হত করিনাকে।
কপূর পরিবারের মেয়ে হয়ে করিশ্মাই প্রথম, যিনি সিনেমা জগতে পা রেখেছিলেন। নব্বই দশকে ‘রাজাবাবু’, ‘জিগর’, ‘কুলি নম্বর ওয়ান’, ‘হসিনা মান জায়েগি’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’-সহ একের পর এক হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে। কপূর পরিবারের মেয়ে, তবু বলিউড অভিষেকটা তাঁর খুব সহজে হয়নি। অনিশ্চয়তায় পূর্ণ ছিল সেই সময়টা। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেই বার বার কোণঠাসা হয়েছেন তিনি। করিনা জানান, সেই সময় প্রতি রাতে দিদিকে দেখতেন মা ববিতার কাছে কান্নাকাটি করতে। যদিও করিনা নিজে সেই সময় খুব ছোট, তাই তেমন ভাবে সাহায্য করতে পারেননি দিদিকে।
করিনার কথায়, ‘‘প্রায় প্রতি রাতে দিদিকে দেখছি কাঁদতে। মাকে বলত, হয়তো আমি পারব না। আমাকে সকলে মিলে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। এই কথাগুলো শুনতাম আমি আড়াল থেকে। মা-দিদির কষ্ট, ওদের যন্ত্রণাটা দেখেছি আমি। আর ওদের কষ্ট পেতে দেখলে আমার কষ্ট হয়। তাই আমি প্রথম থেকেই নিজেকে তেমন ভাবেই প্রস্তুত করেছিলাম।’’ যদিও একটা দশক সফল অভিনয় কেরিয়ার ছিল করিশ্মার। বিয়ের পর অবশ্য নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। তবে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফের নতুন করে অভিনয়ে মন দিয়েছেন করিনার দিদি লোলো।