আমিরকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা বলতে ভয় পেয়েছিলেন করিনা। ছবি: সংগৃহীত।
‘লাল সিংহ চড্ডা’ ছবির শুটিং করছিলেন করিনা কপূর খান। তখন করোনা অতিমারিও জাঁকিয়ে বসেছে। সেই সময়েই দ্বিতীয় বার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু এই সুখবর সহ-অভিনেতা আমির খানের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ভয় পেয়েছিলেন বেবো। বুঝতে পারছিলেন না, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর শুনে কী প্রতিক্রিয়া দেবেন আমির।
অতিমারির জন্য ছবির কাজ এমনিতেই বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিল। তাই করিনা বুঝে উঠতে পারছিলেন না, সেই সময় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পেয়ে কী বলবেন। সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে করিনা বলেছেন, “করোনা অতিমারির সময়ে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। আমি চিন্তায় পড়ে যাই। আমি ভাবছিলাম, হে ঈশ্বর। আমাদের ছবির কাজ চলছে। করোনার জন্য ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। আর এর মধ্যে আমিরকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানাব কী ভাবে!” করিনাকে ভয় পেতে দেখে পরামর্শ দিয়েছিলেন সইফ।
সইফ তখন করিনাকে বলেছিলেন, “আমিরকে তোমার বলা উচিত। বোঝানো উচিত করোনা অতিমারির জন্য আমরা সকলে বাড়িতে আটকে। আমার জানিও না, কবে সব স্বাভাবিক হবে। এটা তো তোমার কোনও ভুল নয়। এমন হতেই পারে। দেড় বছর ধরে আমরা বাড়িতে রয়েছি। ভয় পেয়ো না। ফোনটা করে আমিরকে বলো।”
অবশেষে সাহস সঞ্চার করে করিনা ফোন করেছিলেন আমিরকে। তখন করিনা বলেছিলেন, “দেখো আমির, তুমি যদি আমার জায়গায় অন্য কাউকে নিতে চাও, নিতে পারো। আমি তো একজন মা। আমি দ্বিতীয় সন্তান চাই। আমার কি ক্ষমাপ্রার্থী হওয়া উচিত? আমি সত্যিই জানি না।” এ সব শুনে আমিরের প্রতিক্রিয়া নাকি চমকে দেওয়ার মতো ছিল।
আমির বলেছিলেন, “আমি খুবই খুশি তোমার খবরটা শুনে। আর এই কাজটা আমরাই একসঙ্গে করব। যত দিন লাগবে, লাগুক। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব। কাজটা একসঙ্গেই হবে।” উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি কনিষ্ঠ পুত্র জেহ্ আলি খান আসে সইফ-করিনার জীবনে।