(বাঁ দিকে) শাবানা আজ়মি, কর্ণ জোহর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছর বিনোদন জগতে পা রাখার ২৫তম বর্ষপূর্তি পালন করেছেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক ও প্রযোজক কর্ণ জোহর। প্রায় সাত বছর পরে পরিচালনায় ফিরেছেন তিনি। ২০১৬ সালে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর পর চলতি বছরে ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ নিয়ে ফিরেছেন কর্ণ। বক্স অফিসে সাফল্য ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সেই ছবি। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে আলিয়া ভট্ট ও রণবীর সিংহ অভিনয় করলেও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছে শাবানা আজ়মি, ধর্মেন্দ্র, বাঙালি অভিনেতা চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় ও টোটা রায়চৈধুরীকে। ছবিতে যামিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাবানা। ধর্মেন্দ্রের চরিত্র কানওয়ালের সঙ্গে এক সময় প্রেম ছিল তার। যদিও সাময়িক সেই প্রেমের পরে নিজেদের সংসারেই ফেরে তারা দু’জনেই। কানওয়ালের মৃত্যুর পর তার শেষকৃত্যে এসেছিল যামিনী। সেই চরিত্রে অভিনয় করার সময় নাকি কর্ণের সঙ্গে তর্ক বেধেছিল শাবানার। শেষকৃত্যের দৃশ্যে নিজের নিখুঁত রূপটান পছন্দ হয়নি অভিনেত্রীর। জেদ ধরেছিলেন, বাস্তবের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই শুট করতে হবে সেই দৃশ্য। শাবানার জেদের কী উত্তর দিয়েছিলেন ছবির পরিচালক?
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হলিউড অভিনেত্রী চার্লিজ় থেরনের সঙ্গে কথোপকথনের সময় কর্ণ জানান, শেষকৃত্যের দৃশ্য শুট করার সময় নাকি বিস্তর বাগ্বিতণ্ডা চলেছিল তাঁর ও শাবানার মধ্যে। চার্লিজ়কে কর্ণ বলেন, ‘‘আমার শেষ ছবিতে শাবানা আজ়মি অভিনয় করেছিলেন। তাঁকে ভারতের মেরিল স্ট্রিপ বলা যায়। ছবিতে রান্নাঘরে রান্না করার দৃশ্য শুট করছি। শাবানার চুল উড়ছে, চোখেমুখে মেকআপ, ঠোঁটে লিপস্টিক, পরিপাটি করে শাড়ি পরা। শাবানা আমাকে বলছেন, ‘এ ভাবে কে রান্না করে!’ আমি তাতে রাজি হইনি। আমি বলেই দিয়েছিলাম, আমার ছবিতে এটাই হয়। শেষকৃত্যের দৃশ্যে শাবানা জেদ ধরেছিলেন, ওই দৃশ্যে যাতে তাঁর রূপটান না থাকে। অনেক তর্কের পর আমি রাজি হয়েছিলাম, তা-ও মেকআপ সামান্য কম করার জন্য। আমার ছবিতে অভিনেত্রীর মেকআপ থাকবে না, এটা হয় না।’’ কর্ণ জানান, শাবানা নাকি তাঁকে বলেছিলেন, এমনটা বাস্তবে কখনও হয় না। তাতেই কান দেননি কর্ণ। তিনি বলেন, ‘‘আমার ছবিতে বাস্তব এটাই!’’
কর্ণের সঙ্গে কথোপকথনের সময় চার্লিজ় বলেন, ‘‘আমি অ্যাকশন দৃশ্য শুট করার সময় ট্রাক থেকে পড়ে যাচ্ছি। তার পরে আমাকে লিপস্টিক পরানো হচ্ছে। এটা কোনও দিন সম্ভব!’’ চার্লিজ়ের কথা শুনে কর্ণ বলেন, ‘‘আপনার কোনও দিন আমার বানানো ছবি দেখাই উচিত নয়। কারণ আমার ছবিতে কোনও চরিত্র মারা গেলেও তার মেকআপ নিখুঁত থাকে।’’