কর্ণ-ঐশ্বর্য-সলমন
কফির কাপে প্রশ্নের ঝড় তোলেন তিনি। নিজে উত্তর দিলেও যে পাল্টা হাওয়া বইয়ে দিতে পারেন, কে জানত! সেটাই করে ফেললেন কর্ণ জোহর। বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালকের কাছে প্রশ্ন ছিল, মহিলা হলে বলিউডের কোন নায়িকার মতো হতে চান তিনি। প্রশ্নকর্তা স্বয়ং সলমন খান। আর তাতেই একটুও না ভেবে কর্ণের জবাব, ঐশ্বর্যা রাই হতে চান তিনি। প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত তারকারা হতভম্ব। প্রশ্নকর্তা নিজেও বেজায় বিপাকে। তবু প্রশ্ন করলেন, কেন ঐশ্বর্যা হতে চান কর্ণ। তার উত্তর আসতেই আরও ব্যাকফুটে ‘ভাইজান’। কারণ জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন কর্ণ— ‘‘কেন, তা তুমি জানতে চাইছ? আমি মনে করি সারা পৃথিবীতে ঐশ্বর্যার মতো সুন্দরী আর কেউ নেই।’’ প্রকাশ্য মঞ্চে সে উত্তর হাসিমুখে শুনতে হয় ‘ভাইজান’কে। এক সময়ের দুরন্ত প্রেম। সলমন-ঐশ্বর্যার পর্দার রসায়ন বাস্তবে গড়িয়েছিল অনেক দূর। বেশ কয়েকটা ছবি ব্যর্থ হওয়ার পরে বলিউডে তখন পায়ের তলায় জমি খুঁজতে হিমসিম রাই সুন্দরী। পাশে দাঁড়ান ‘সল্লু মিঁয়া’। কাজের সূত্রেই গভীর হয় দু’জনের সম্পর্ক।
শোনা যায়, সলমনের সূত্রেই সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে নায়িকার চরিত্র পান ঐশ্বর্যা। সেই ছবির শ্যুটিং চলাকালীনই সলমন-ঐশ্বর্যার সম্পর্ক ভেঙে খান খান। কী হয়েছিল ‘হম দিল চুকে সনম’ ছবির সেটে? গুঞ্জন,ঐশ্বর্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সলমন। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ঐশ্বর্যা।বলিপাড়ার কানাঘুষো বলে, প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে না পেরে ঐশ্বর্যার গায়ে হাত তুলে বসেন ‘ভাইজান’। সে আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, হাতে প্লাস্টার করতে হয় ঐশ্বর্যাকে। হাত জোড়া লাগলেও ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক আর জোড়া লাগেনি। বলিউডের আর কোনও ছবিতে এই জুটিকে কাজ করতেও দেখা যায়নি। তার পর আরবসাগরের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঐশ্বর্যার এখন সুখী সংসার। ফুটফুটে মেয়ে আরাধ্যা এসেছে তাঁদের জীবনে। অপর দিকে, একের পর এক সম্পর্কে জড়ালেও ঘর বাঁধা হয়নি সলমনের। বন্ধু-পরিচালক কর্ণের প্রশ্নের উত্তরে পুরনো দিনের কথা মনে করে হাসা ছাড়া তাই আর কিছুই করার ছিল না পর্দার ‘চুলবুল পাণ্ডে’র।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।