কোথায় ঝগড়া-ঝামেলা? কোথায় তিক্ততা? প্রিয়ঙ্কাকে দেখেই জড়িয়ে ধরলেন কর্ণ। হাসিমুখে কর্ণের সঙ্গে বেশ গালগল্পও করলেন প্রিয়ঙ্কা ও নিক। — ফাইল চিত্র।
দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। বলিউড তাঁকে একঘরে করে দেওয়ার কারণেই নাকি হলিউডের দিকে পা বাড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি, জানান দেশি গার্ল। পাশাপাশি, বলিপাড়ার অন্দরের রাজনীতি নিয়েও মুখ খোলেন প্রিয়ঙ্কা।
তিনি দাবি করেন, ‘তারকা’ তকমা সত্ত্বেও তাঁকে নাকি চরিত্রে নেওয়া হচ্ছিল না। প্রিয়ঙ্কার একগুচ্ছ অভিযোগে ঝড় ওঠে সমাজমাধ্যমে। প্রায় ১০ বছর আগের টুইট ঘেঁটে অভিনেত্রীর অনুরাগীরা দাবি করেন, প্রিয়ঙ্কাকে বলিউড থেকে ‘তাড়ানো’র নেপথ্যে নাকি ছিলেন বলিপাড়ার অন্যতম প্রভাবশালী তারকা কর্ণ জোহর। সেই ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যেই মায়ানগরীতে পা প্রিয়ঙ্কার। স্বামী নিক জোনাস ও মেয়ে মালতী ম্যারিকে নিয়ে মুম্বইয়ে এসেছেন প্রিয়ঙ্কা। নীতা মুকেশ অম্বানী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিককে সঙ্গে নিয়ে হাজির ছিলেন তিনি। বেইজরঙা ঝকঝকে গাউনে অপরূপা দেশি গার্ল। সেই পার্টিতেই কর্ণ জোহরের মুখোমুখি দেশি গার্ল।
কোথায় ঝগড়া-ঝামেলা? কোথায় তিক্ততা? প্রিয়ঙ্কাকে দেখেই জড়িয়ে ধরলেন কর্ণ। হাসিমুখে কর্ণের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ গালগল্পও করলেন প্রিয়ঙ্কা ও নিক। সবটাই কি তা হলে প্রচার কৌশল? ধন্দে পড়েছেন অভিনেত্রীর অনুরাগীরা।
এই মুহূর্তে হলিউডের নয়নের মণি তিনি। জনপ্রিয় টেলিভিশন শো, একাধিক সিনেমার পর এ বার রুশো ব্রাদার্সের সঙ্গে ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। এখন তাঁর নাম শোনা যায় হলিউডের প্রথম সারির তারকাদের সঙ্গে। হলিউডে নিজের জায়গা মোটামোটি পাকা করে ফেলেছেন দেশি গার্ল। কিন্তু কর্মজীবনের অন্যতম সেরা সময়ে থাকাকালীন কেন মুম্বই ছেড়ে গেলেন প্রিয়ঙ্কা? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা জানান, বলিউডে ‘সাত খুন মাফ’ ছবিতে কাজ করার সময় অঞ্জুলা আচারিয়ার কাছ থেকে ফোন পান তিনি। অঞ্জুলাই প্রথম তাঁকে প্রস্তাব দেন আমেরিকায় এসে গান গাওয়ার। সেই সময় নাকি বলিউড থেকে বেরোনোর রাস্তা খুঁজছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘বলিউডে সেই সময় আমাকে প্রায় একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। আমাকে ভাল চরিত্রে নেওয়া হচ্ছিল না। আমার সঙ্গে অনেকের ঝামেলাও হয়েছিল। আমি এ সব নোংরা রাজনীতির মধ্যে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’’ আমেরিকায় এসে গান গাওয়া শুরু করলেও তাতে বিশেষ সাফল্য পাননি প্রিয়ঙ্কা। তবে একাধিক হলিউড তারকার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠেছিল তাঁর গান। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘বলিউডে আমি এত বছর ধরে কাজ করেছি।কিন্তু ওই সময় আমি এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম যে, আমার মনে হচ্ছিল সব ছে়ড়ে চলে যাই।’’ গান গাওয়ায় সফল না হলেও শেষ পর্যন্ত সেটাই করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তবে হলিউডে কিছু দিন কাটানোর পরে প্রিয়ঙ্কা বুঝতে পারেন, গানের চেয়ে অভিনয়েই বেশি দক্ষ তিনি। তাই, তার পরে আমেরিকাতে থেকেই অভিনয়ের কাজ খুঁজতে থাকেন দেশি গার্ল। একের পর এক অডিশন দেওয়ার পরে সুযোগ পান ‘কোয়ান্টিকো’ টেলিভিশন সিরিজ়ে। বাকিটা ইতিহাস। ‘বেওয়াচ’, ‘ম্যাট্রিক্স: রেভোলিউশন্স’-এর মতো ছবিতে কাজ করার পর রুশো ব্রাদার্সের সঙ্গে এক ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করেছেন দেশি গার্ল। চলতি মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে কল্পবিজ্ঞান ও স্পাই থ্রিলারের মিশেলে তৈরি সেই সিরিজ়।