কপিল জানান, মুম্বইয়ে আসার পর লোকে যখন তাঁর সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে চাইত, তিনি চুপ করে থাকতেন। —ফাইল চিত্র
ভাল ইংরেজি জানতেন না কপিল শর্মা। সেই অক্ষমতাকে দিব্যি হাসির খোরাক বানিয়ে নিয়েছিলেন কৌতুকশিল্পী। তাতেই নাকি ভয় কেটেছিল ভাষার। পঞ্জাব থেকে মুম্বই এসে কী ভাবে শুরু হয়েছিল তাঁর যাত্রা?
সম্প্রতি নন্দিতা দাস পরিচালিত ছবি ‘জ়িগাটো’ ছবির প্রচারে এসে অতীতের অনিশ্চিত দিনগুলির কথা ভাগ করে নিয়েছেন কপিল। এই ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে ডেলিভারি বয়ের ভূমিকায়। বাস্তবেও তাঁর লড়াইয়ের পথ মসৃণ ছিল না। অমৃতসরে খুব ছোটবেলা থেকে রুটিরুজির চেষ্টা করে গিয়েছিলেন অভিনেতা। জানান, প্রথম চাকরিটি পান ১৪ বছর বয়সে। দৈনিক পারিশ্রমিক পেতেন ৫০০ টাকা। কপিলের কথায়, “তখন অবশ্য কম সময় ধরে কাজ করতাম। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা অথবা ভোরে হলে ৪টে থেকে সকাল ৭টা।”
গায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পঞ্জাব থেকে মুম্বই পাড়ি দেন কপিল। যদিও আত্মপ্রকাশ করেন কৌতুকশিল্পী এবং অভিনেতা হিসাবে।
‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’ এবং ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ দিয়ে ভারতীয় টেলিভিশনে কমেডির চেহারা বদলে দেন কপিল।
নিজেকে নিয়েও অনবরত মজা করে যান। ইংরেজি ভাষার উপর তার দখল কম, আগেভাগেই স্বীকার করে কপিল বলেন, “আর কেউ যাতে আমার অক্ষমতা নিয়ে মজা না করে, আমি তাই নিজেই শুরু করেছি।”
কপিল জানান, মুম্বইয়ে আসার পর লোকে যখন তাঁর সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে চাইত, তিনি চুপ করে থাকতেন। তার পর বোঝেন চুপ করে থাকাটা সমাধান নয়। তাই নিজেকে নিয়ে রসিকতা শুরু করেন। তাতেই জড়তা কেটে যায় কপিলের। তবে এখনও শিকড় ভোলেননি তিনি। কেউ তাঁর উচ্চকিত প্রশংসা করলে অস্বস্তিতে পড়েন। নিজেকে এখনও যে ফুল মার্কস দিয়ে উঠতে পারেননি।