অমিতাভ বচ্চন।
সম্প্রতি কর্ণাটকের পরিবহণ দফতর বিশেষ তল্লাশি চালিয়ে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। সেই গাড়িগুলির মধ্যে রয়েছে একটি রোলস রয়েস ফ্যান্টম। অতীতে এই গাড়িটি ব্যবহার করতেন অমিতাভ বচ্চন।
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অমিতাভ বচ্চনের গাড়িটি চালাতেন সলমন খান নামের এক ব্যক্তি। সলমন বেঙ্গালুরুর বসন্ত নগরের বাসিন্দা। তাঁর বাবা অমিতাভের থেকে এই গাড়িটি কিনেছিলেন। অমিতাভকে ২০০৭ সালে এই বহুমূল্য গাড়িটি উপহার দিয়েছিলেন পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া। সেই বছর পরিচালকের ‘একলব্য’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ। ছবির সাফল্যে খুশি হয়ে তাঁকে এই উপহার দিয়েছিলেন বিধু বিনোদ। ২০১৯ সালে ‘উমরাহ ডেভেলপার্স’ নামে সংস্থার কর্মী ইউসুফ শরিফের (তিনি 'ডি বাবু' নামেও পরিচিত) কাছে এই গাড়িটি বিক্রি করে দেন অমিতাভ। কিন্তু তখনও গাড়িটির কাগজপত্র তাঁর নামেই ছিল। যিনি গাড়িটি চালাচ্ছিলেন, সেই সলমন ইউসুফ তথা ডি বাবুরই ছেলে।
ডি বাবু এই গাড়িটি কিনে নিলেও খাতায়-কলমে তার মালিকানা পরিবর্তিত হয়নি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমার পরিবারের সদস্যরা প্রতি রবিবার এই গাড়িটি ব্যবহার করেন। কিন্তু আমার গাড়িটি-সহ আরও অন্যান্য বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। আমাকে বলা হয়, সঠিক কাগজপত্র জমা দিলে গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু গাড়ির কাগজপত্র এখনও সব অমিতাভ বচ্চনের নামে।”
পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে গাড়ি নিয়ে আসার ১১ মাসের মধ্যে তার নম্বর বদলে ফেলতে হয়। এ ক্ষেত্রে গাড়িটি বিগ বি-র কাছ থেকে কেনা হয়েছে ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। বাবু জানিয়েছেন, ছ’কোটি টাকা দিয়ে তিনি অমিতাভের কাছ থেকে গাড়িটি কিনেছিলেন। কিন্তু জরুরি কাগজপত্র বাবুর কাছে ছিল না। কিন্তু অমিতাভ যে গাড়িটি তাঁর কাছে বিক্রি করেছেন, এই মর্মে অভিনেতার থেকে একটি চিঠি নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। পরিবহণ দফতর থেকে ডি বাবুকে সঠিক কাগজপত্র দেখানোর জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কাগজপত্র পেশ না করতে পারলে অন্য পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সঠিক কাগজপত্র না থাকায় বা কর ফাঁকি দেওয়ার কারণেই গাড়িগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।