বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য কঙ্গনার। ছবি: সংগৃহীত।
বেঙ্গালুরুতে তথ্যপ্রযুক্তি চাকুরিজীবী অতুল সুভাষের মৃত্যুর ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের ‘মিথ্যা’ মামলায় হাজিরা দিতে অন্তত ৪০ বার বেঙ্গালুরু থেকে জৌনপুর গিয়েছেন অতুল সুভাষ। জানিয়েছে মৃত যুবকের পরিবার। যুবকের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়ার বিরুদ্ধে উঠেছে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় এ বার মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করলেন কঙ্গনা রানাউত।
এই ঘটনায় নারীবাদের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী। কঙ্গনা বলেছেন, “পুরো দেশের কাছে এই ঘটনা বড় ধাক্কা। ওঁর ভিডিয়ো সত্যিই হৃদয়বিদারক। ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে বিয়ে হলে সব কিছু ঠিক থাকে। এ সবের জন্য দায়ী বামপন্থা বা ভুয়ো নারীবাদের চরম নিন্দা করি। কোটি কোটি টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এ তো ওই যুবকের ক্ষমতার বাইরে ছিল। চাপে পড়ে ওঁকে এই পদক্ষেপ করতে হল।”
অভিযোগকারী বা নির্যাতিতা সঠিক বলছেন কি না, এই সব ক্ষেত্রে তা-ও খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন কঙ্গনা। এই মন্তব্য করেই অভিনেত্রী বলেন, “এই একজন মহিলাকে অবশ্য উদাহরণ হিসাবে গণ্য করাই উচিত নয়। যে সব মহিলার সঙ্গে সত্যিই প্রতারণা করা হয়, তাঁদের ঘটনাগুলিকে আমরা একেবারেই অস্বীকার করতে পারি না। কারণ, ৯৯ শতাংশ বিবাহবিচ্ছেদে পুরুষদেরই দোষ থাকে।”
এই মন্তব্যে চটেছেন বিপুল সংখ্যক নেটাগরিক। তাঁরা মানতে নারাজ, ৯৯ শতাংশ বিবাহবিচ্ছেদে পুরুষদেরই দোষ থাকে। এক নেটাগরিকের কথায়, “এমন মানুষের থেকে প্রতিক্রিয়া নেওয়াই উচিত নয়। ইনি নিজেই এক জন শোষণকারী। ওঁর নিজেরই বলা ৯৯.৯৯ শতাংশ ঘটনা মিথ্যা।”
অতুল সুভাষের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ছাড়াও শ্যালক ও শাশুড়ির বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃত যুবক উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বেঙ্গালুরুতে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করার সুবাদে সেখানেই থাকতেন তিনি। অতুলের স্ত্রীও চাকরিজীবী ছিলেন। তবে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চালকালীন মাসিক ৪০ হাজার টাকা খোরপোশ দিতে হত অতুলকে। এর পরেও অতুলের স্ত্রী ও তাঁর পরিবার আরও ২-৪ লাখ টাকা দাবি করছিলেন বলে অভিযোগ। অতুলের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের আদালতে মামলাও করেছিলেন স্ত্রী।