কঙ্গনা রানাউত ছবি: সংগৃহীত।
কঙ্গনা রানাউতের আসন্ন ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তি পাওয়ার কথা আগামী ৬ সেপ্টেম্বর। এই ছবিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্গনাকে। যদিও ছবির মুক্তি সংক্রান্ত জট এখনও কাটেনি। সেন্সর বোর্ড নাকি কিছুতেই ছাড়পত্র দিতে চাইছে না, দাবি করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু শিখ সংগঠন ছবিটিকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। সমাজের একটা অংশ এই ছবি বয়কটেরও ডাক দিয়েছে। এই দোলাচলের মধ্যেই কি পরবর্তী ছবির প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন কঙ্গনা? এ বার কি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন! জবাব দিলেন নিজেই।
২০২১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘থালাইভি’। জয়ললিতার চরিত্রে অভিনয় করেন কঙ্গনা। যদিও বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখতে পায়নি সে ছবি। তবে এ বার কঙ্গনা দোলাচলে, মমতা নাকি মায়াবতী কার চরিত্রে অভিনয় করতে চাইবেন? এই প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, “আমি এঁদের বেছে নিয়েছি, তেমন নয়। এই চরিত্রগুলো আমাকে বেছেছে। আমি ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রেও অভিনয় করেত চাইনি। যেন কোনও শক্তি আমায় দিয়ে করিয়ে নিল।”
তবে কি এ বার বিজেপি সাংসদকে পর্দায় দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে? না কি তিনি বেছে নেবেন সমাজবাদী পার্টির মায়াবতীকে? কঙ্গনার কথায়, “একজন শিল্পীর কাছে কোনও চরিত্রই কঠিন নয়। তবে মনে হয়, একজন নেত্রী হিসেবে আমি মায়াবতীর চরিত্রেই অভিনয় করতে চাইব।”
যদিও এ সবের মধ্যে নিজের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’-র জন্য লড়াই করবেন ও শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানালেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “এ বার সত্যিই দেরি হচ্ছে। ছবির শংসাপত্র যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আসে। না হলে, আমি এটার জন্য লড়াই করবই। ছবিমুক্তির জন্য আমি আদালত পর্যন্ত যেতে পারি। আমি আমার অধিকার রক্ষা করবই। ভয় দেখিয়ে ইতিহাস কেউ বদলাতে পারবে না।”